The_British_Army_in_the_UK-_Evacuation_From_Dunkirk

ডানকির্কের যুদ্ধ (Battle of Dunkirk), এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর নব-উত্থান

ডানকির্ক ফ্রান্সের উপকূলীয় একটি ছোট শহর, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিশাল এক সামরিক উদ্ধার অভিযান সংঘটিত হয়েছিলো। ১৯৪০ সালের ২৬ শে মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ডানকির্ক যুদ্ধের (battle-of-dunkirk) সময় প্রায় ৩৩৮,০০০ ব্রিটিশ এক্সপিডিশনারি ফোর্স (বিইএফ) এবং অন্যান্য মিত্র বাহিনীর সদস্যকে ডানকির্ক থেকে ইংল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শত শত নৌ ও বেসামরিক জাহাজের সমন্বয়ে এই বিশাল উদ্ধার অভিযানটি “ডানকির্কের অলৌকিক” উদ্ধার অভিযান হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। একই সাথে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপগুলো গ্রহণের ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হিসাবে কাজ করে।

ডানকির্কের অবস্থান

ডানকির্ক (dunkirk) ফ্রান্সের উত্তরে বেলজিয়াম-ফরাসী সীমান্তের নিকটবর্তী উত্তর সাগরের তীরে অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত। ইংলান্ড এবং ফ্রান্সের মাঝে অবস্থিত ইংলিশ চ্যানেল থেকে মাত্র ২১ মাইল দূরের স্ট্রিট অফ ডোভারের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

তিন ইউরোপীয় শক্তির সীমানার নিকটবর্তী সমুদ্র উপকূলীয় অবস্থানের কারণে, ডানকির্ক (ফরাসী ভাষায় ডানকার্ক নামে পরিচিত) এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলি বহু শতাব্দী ধরে বাণিজ্য এবং ভ্রমণের জন্য একটি বিখ্যাত জায়গা হিসেবে পরিচিত। সেই সাথে অসংখ্য রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের জন্যও বিখ্যাত এ স্থানটি।

ডানকির্কের যুদ্ধ

British_army_at_Dunkerque_France
British_army_at_Dunkerque_France

১৯৪০ সালের ১০ মে তারিখে জার্মান নাৎসি বাহিনী নেদারল্যান্ডস, লাক্সেমবার্গ এবং বেলজিয়াম আক্রমণ করে এবং ব্লিটজ্রিগ (জার্মানির “বজ্রযুদ্ধ”) নামে তথাকথিত “ফনি যুদ্ধ” কোন প্রকার সিদ্ধান্তহীনভাবেই শেষ হয়েছিলো।

জার্মানদের সমন্বিত কৌশল, উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিমান বাহিনী এবং প্যানজার ট্যাঙ্ক এর সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল গ্রাউন্ড ফোর্সের আক্রমনের ফলে ঐ তিনটি দেশ দ্রুত পরাজিত হয়। জার্মানরা ১০ মে লাক্সেমবার্গ, ১৪ ই মে নেদারল্যান্ডস এবং মাসের শেষের দিকে বেলজিয়াম দখল করে নেয়।

ব্লিটজ্রিগ শুরু হওয়ার পরপরই জার্মান বাহিনী, ফ্রান্সকে আক্রমণ করে ম্যাজিনট লাইন (Maginot Line) ধরে অগ্রসর হয়। এদিকে মিত্র বাহিনী, জার্মানদের প্রত্যাশা মতোই, আর্দনেস ফরেস্টের মধ্য দিয়ে সোমমে উপত্যকা হয়ে ইংলিশ চ্যানেলের দিকে অগ্রসর হয়েছিল।

তাদের অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে জার্মান বাহিনী মিত্রবাহিনীর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার মধ্যে সমস্ত যোগাযোগ এবং পরিবহন বন্ধ করে দেয়। ফলে উত্তরের কয়েক লক্ষ মিত্রবাহিনীর সেনা ফরাসী উপকূলে একটি ছোট স্লাইভে পরিণত হয় এবং আটকে পড়ে।

১৯ মে নাগাদ, ডানকির্ক যুদ্ধে (battle-of-dunkirk) আটকে যাওয়া ব্রিটিশ এক্সপিডিশনারি ফোর্সের (বিইএফ) কমান্ডার জেনারেল জন গুর্ট, নাৎসিদের আক্রমণ  থেকে তাদের সেনাদেরকে বাঁচানোর জন্য সমুদ্রপথে পুরো বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়ার একটি সম্ভাবনা গুরুত্তের সাথে বিবেচনা করতে শুরু করেছিলেন। 

এদিকে, লন্ডনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলিন (Neville Chamberlain) ১৩ মে চাপের মুখে পদত্যাগ করেন এবং উইনস্টন চার্চিলের নেতৃত্বাধীন নতুন যুদ্ধকালীন জোট সরকার গঠনের পথ তৈরি হয়। প্রথমদিকে, ব্রিটিশ কমান্ড ডানকির্কে আটকে পরা সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার বিরোধিতা করেছিল। ওদিকে ফরাসিরা ঠিকই তাদের সেনাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছিলো।

তবে বেলজিয়ামের সীমানা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) দূরে, উত্তর সাগরের তীরে অবস্থিত ফরাসী বন্দর ডানকির্কে, বিইএফ এবং এর মিত্ররা জোর করে ফিরে যাওয়ার পরে, চার্চিল নিশ্চিত হয়ে যান যে, সেনাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়াই হল একমাত্র বিকল্প পথ।

এই ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনটির পরিকল্পনার জন্য মিত্ররা হিটলারের পক্ষ থেকে একটি আশ্চর্যজনক এবং অপ্রত্যাশিত সাহায্য পেয়েছিল। অ্যাডল্ফ হিটলার, ২৪ মে ডানকির্কে জার্মান পাঞ্জার বিভাগগুলির (German panzer divisions) অগ্রগতি বন্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন। আসলে হিটলার তার জেনারেলদের উদ্বেগের কারনে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে মিত্র বাহিনীর পাল্টা অভিযোগ ছিল।

আরও পড়ুনঃ- এশিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। জাপানি আগ্রাসন সে সময় যেমন ছিল।

অপারেশন ডায়নামো

Troops_evacuated_from_Dunkirk_on_a_destroyer_about_to_berth_at_Dover_31_May_1940
Troops_evacuated_from_Dunkirk_on_a_destroyer_about_to_berth_at_Dover_31_May_1940

২৬ শে মে সন্ধ্যায় ব্রিটিশরা কোড নেম “ অপারেশন ডায়নামো “ ব্যবহার করে ডানকির্ক থেকে তাদের সেনাদের সরিয়ে নিতে শুরু করে। ভাইস অ্যাডমিরাল বার্টরাম রামসে ডানকির্ক যুদ্ধের (battle-of-dunkirk) এ অভিযানটি পরিচালনা করেছিলেন এবং উদ্ধারকারী দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কোড নেম অপারেশন ডায়নামো ব্যাবহার করে। আসলে ডায়নামো ছিল একটি জেনারেটর (এ নামটিই পড়ে অপারেশনের নাম হয়েছিল)।

Luftwaffe এর বন্দরে জার্মানদের অবিরাম বোমা হামলা, উদ্ধার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিয়েছিল। এ সময় রয়েল এয়ার ফোর্সের (আরএএফ) বিমানগুলি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে জার্মান বিমানকে বিলম্ব বা থামানোর চেষ্টা করেছিল, যদিও এ প্রক্রিয়াটিতে ব্রিটিশরা অনেক বিমান হারায়।

ডানকির্ক যেভাবে খালি করা হয়

The_Return_from_Dunkirk
The_Return_from_Dunkirk

প্রথম দিনে অপারেশন ডায়নামোর উদ্ধার অভিযানে, ডানকির্ক থেকে মাত্র সাড়ে সাত হাজার সেনাকে সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছিল এবং পরের দিন (২৮ মে) আরও প্রায় ১০,০০০ সেনাকে সরানো সম্ভব হয়।

ডানকির্কের সমুদ্র সৈকত ছিল অগভীর, সেজন্য রয়্যাল নেভির জাহাজগুলি তীর পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম ছিল না। এ অবস্থায় মিত্ররা বড় জাহাজে সৈন্য বহন করার জন্য ছোট জাহাজগুলোর সাহায্য চায়। প্রায় ৮০০ থেকে ১,২০০ নৌকো, যার মধ্যে বেশিরভাগ ফেলে রাখা বা মাছ ধরার নৌকা ছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত এদের মাধ্যমে ডানকির্ক থেকে মিত্র সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিলো।

এ সকল ছোট ছোট নৌকা কিছু নৌবাহিনী দ্বারা দখল নেওয়া হয়েছিল এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা কিছু উদ্ধার হয়েছিল, অন্যরা তাদের নাগরিক মালিক এবং ক্রুদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। এই ছোট জাহাজগুলো ২৮ শে মে সকালে ডানকির্ক সমুদ্র সৈকতে আগমন করে এবং ব্রিটিশ সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার গতি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।

শুরুতে, চার্চিল এবং বাকী ব্রিটিশ কমান্ড আশা করেছিল, ডানকির্ক থেকে সর্বাধিক ৪৫,০০০ লোককে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তবে অপারেশন ডায়নামোর সাফল্য সমস্ত প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যায়। ২৯ শে মের মধ্যে, ৪৭,০০০ এরও বেশি ব্রিটিশ সেনাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। ৩০ মে তারিখে প্রথম ফরাসী সেনা সহ ৫৩,০০০ এরও বেশি সেনাকে সরিয়ে নেয়া হয়।

উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে, দেখা যায় প্রায় ১,৯৮,০০০ ব্রিটিশ এবং ১,৪০,০০০ ফরাসী সেনাকে ডানকির্ক সমুদ্র সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। অর্থাৎ মোট প্রায় ৩,৩৮,০০০ জন পুরুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো। ৪ ই জুন সকালে প্রতিরোধ শেষ হলে এবং জার্মান সেনারা ডানকির্ক দখল করে নিলে দেখা যায় মিত্রবাহিনী বিইএফএর ৯০,০০০ ভারী বন্দুক এবং ট্যাঙ্ক সেখানে ফেলে গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা এবং সমাপ্তি

লে প্যারাডিস গণহত্যা

২ মে,রয়্যাল নরফোক রেজিমেন্টের ৯৯ জন সৈন্য ডানকির্ক থেকে প্রায় ৫০ মাইল দূরে প্যারাডিস গ্রামে একটি ফার্মহাউসে ফিরে যায়। জার্মানদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়ে, আটকে পড়া রেজিমেন্ট তাদের রাইফেলের বেয়ারনেটে বেঁধে সাদা পতাকা উত্তোলন করে ফার্মহাউস থেকে বের হলে জার্মানদের মেশিনগানের গুলিতে তাদের বুক ঝাঁজরা করে দেয়া হয়েছিল।

ক্যাপ্টেন ফ্রিটজ নোকলিন নামে এক জার্মান কর্মকর্তা আদেশ দিয়েছিলেন, যে সকল ব্রিটিশ সেনা মেশিনগানের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে তাদের আগুনে পুড়িয়ে মারার। এতেও যারা বেঁচে যায়, তাদের বেয়নেট দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল এবং পরে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।

রেজিমেন্টের ৯৯ জন সদস্যের মধ্যে কেবল অ্যালবার্ট পুলি এবং উইলিয়াম ও’কাল্লাঘান নামে দুজন সৈনিক বেঁচে গিয়েছিলেন। তারা অন্ধকার নামা অবধি মৃতদের মধ্যে শুয়ে ছিল। তারপর, রাত্রে ঝড় বৃষ্টি শুরু হলে তারা একটি খামারবাড়িতে হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছায়।

তবে এখান থেকে আর কোথাও যেতে না পেরে তারা আবার জার্মানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। জার্মানরা অবশ্য তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিল, পুলির পা এত খারাপভাবে আহত হয়েছিল যে ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে কিছু আহত জার্মান সৈন্যের বিনিময়ে তাকে ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

ব্রিটেনে ফিরে আসার পরে, পুলির ভয়ংকর কাহিনী কেউ বিশ্বাস করে নি। কেবল যখন ও’ক্যালাহান বাড়ি ফিরে এসে গল্পটি পুনরায় করেছিলেন তখনই এটির একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়।

যুদ্ধের পরে, হামবুর্গের একটি ব্রিটিশ সামরিক ট্রাইব্যুনাল, ক্যাপ্টেন নোচলিনকে খুঁজে পেয়েছিল। যিনি লে প্যারাডিস গণহত্যার সময় ব্রিটিশ সেনাদের উপর গুলি চালানোর আদেশ দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি যুদ্ধাপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং এ অপরাধের জন্য তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

ডানকির্কের প্রভাব

A-scene-from-the-Battle-of-Dunkirk
A-scene-from-the-Battle-of-Dunkirk

যদিও জার্মান ব্লিটজ্রিগ নিঃসন্দেহে সফল হয়েছিল তবে, ব্রিটেনের প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সর্বাধিক সফল প্রত্যাবর্তন মিত্রদের যুদ্ধক্ষেত্রে নতুনভাবে ফিরিয়ে এনেছিল এবং ইতিহাসে এ ঘটনাটি  এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।

জার্মানি আশা করেছিল, ডানকির্কের পরাজয় ব্রিটেনকে যুদ্ধ থেকে দ্রুত সরিয়ে নেবে এবং তাদের সাথে আত্মসমর্পণ করার বিষয়ে আলোচনা করবে। কিন্তু ঘটেছিলো উল্টো ঘটনা “ডানকির্ক এর অলৌকিক ঘটনা” যুদ্ধকালীন সময়ে ব্রিটিশদের জন্য নতুন চেতনার প্রতীক হয়ে ওঠে।

১৯৪০ সালের ১৯ জুন উইনিস্টন চার্চিল ৪ জুন এর সফলতা উল্লেখ করে একটি বক্তৃতায় জার্মানদের সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ” শুধুমাত্র যুদ্ধ জেতার মাধ্যমেই বিজয়ী হওয়া যায় না।” এই বিজয়ে আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। “

তবে একই বক্তৃতায় তিনি ব্রিটিশদের দৃঢ় সংকল্পের বিষয়ে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন যা পরবর্তী পাঁচ বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের সময় ইংলান্ড জাতিকে পথ দেখিয়েছিল।

“[We] shall not flag or fail. We shall go on to the end, we shall fight in France, we shall fight on the seas and oceans, we shall fight with growing confidence and growing strength in the air, we shall defend our Island, whatever the cost may be, we shall fight on the beaches, we shall fight on the landing grounds, we shall fight in the fields and in the streets, we shall fight in the hills; we shall never surrender.”

“[আমরা] ব্যর্থ হব না। আমরা শেষ পর্যন্ত যাব, আমরা ফ্রান্সে যুদ্ধ করব, আমরা সমুদ্র এবং মহাসাগরে লড়াই করব, আমরা ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাস এবং বাতাসে ক্রমবর্ধমান শক্তির সাথে লড়াই করব, আমরা আমাদের দ্বীপকে রক্ষা করব, এতে যত খরচ হোক না কেন, আমরা সৈকতে লড়াই করব, আমরা মাঠে লড়াই করব, আমরা মাঠ এবং রাস্তায় লড়াই করব, পাহাড়ের মধ্যে লড়াই করব; আমরা কখনই আত্মসমর্পণ করব না.”।

আরও পড়ুনঃ- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধঃ সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক বার্লিন পতন

ডানকির্কের ঘটনার পরের অবস্থা

ডানকির্ক থেকে মিত্র সেনাদের সফলভাবে সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও, কয়েক হাজার ফরাসী সেনা পিছিয়ে পড়ে এবং জার্মানরা তাদের বন্দী করেছিল। ডানকির্কের তীরে পরিত্যক্ত ছিল প্রচুর পরিমাণে গোলাবারুদ, মেশিনগান, ট্যাঙ্ক, মোটরসাইকেল, জিপ এবং বিমানবিরোধী আর্টিলারি।

পশ্চিম ইউরোপ তার প্রধান ডিফেন্ডারদের দ্বারা পরাজিত হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জার্মান সেনাবাহিনী ফ্রান্সের বাকী অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৪ জুন তারিখে প্যারিসের পতন ঘটে। এর আট দিন পরে হেনরি পেটাইন নাজিদের সাথে কমপিগনে একটি অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

জার্মানি ফ্রান্সের অর্ধেক অংশে নিজেদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এবং বাকি অর্ধেক অংশ তাদের পুতুল ফরাসি শাসকদের হাতে রেখে দেয়। ১৯৪৪ সালের জুন (৬ জুন, ডি-ডে) অবধি পশ্চিম ইউরোপের মুক্তি, তথা ফ্রান্সের মুক্তি সম্ভব হয়েছিলো না। এটি তখনই ঘটেছিলো, যখন নরম্যান্ডিতে মিত্রবাহিনী সফল অবতরন করেছিল।

 

তথ্যসূত্রঃ- https://www.history.com/topics/world-war-ii/dunkirk

https://en.wikipedia.org/wiki/Dunkirk_evacuation

https://www.thesun.co.uk/news/3706936/world-war-two-battle-dunkirk-soldiers-evacuated/

https://www.britannica.com/event/Dunkirk-evacuation

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top