দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen) নামে পরিচিত এক মোবাইল কিলিং স্কোয়াড

জার্মান সেনা এবং তাদের সহযোগীদের নিয়ে একটি মোবাইল কিলিং স্কোয়াড তৈরি হয়েছিলো হলোকাস্টের সময়, এবং যাদের নাম ছিল আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen)। সোভিয়েত ইউনিয়নে জার্মান আগ্রাসনের পরবর্তী সময়ে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছিল এ গ্রুপটি।

১৯৪১ সালের জুন থেকে ১৯৪৩ সালের বসন্ত কাল পর্যন্ত চলমান অভিযানগুলি কমে যাওয়ার আগে পর্যন্ত, আইনস্টাটগ্রুপেন পূর্বের নাৎসি-অধিকৃত অঞ্চলে ইহুদি, কমিউনিস্ট এবং প্রতিবন্ধীদের উপর গণহত্যা চালিয়েছিল।

আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen) এর অত্যাচার নাৎসিদের চূড়ান্ত সমাধান বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ ছিল মাত্র।

চূড়ান্ত সমাধানের উত্স হিসেবে আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen)

১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বরে অ্যাডলফ হিটলার প্রথমে “ইহুদীদের” সম্পর্কে তার ধারণার অবতারনা করেছিলেন এবং জার্মানিতে ইহুদীদের উপস্থিতিকে যক্ষ্মার সাথে তুলনা করেছিলেন।

এটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য, তিনি চেয়েছিলেন যে সমস্ত ইহুদীকে জার্মানি থেকে অপসারণ করা হোক, তবে, সে সময় তিনি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের গণহত্যা কে সাধারণত বোঝাতে চাননি।

১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় আসার পরে নাৎসিরা ইহুদীদের এতটাই অপ্রয়োজনীয় মনে করেছিল যে, তারা তাদেরকে জার্মানি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের চেষ্টা করেছিল।

জার্মানি থেকে অপসারণের পরিকল্পনা হিসেবে, ইহুদীদেরকে একটি দ্বীপে, সম্ভবত মাদাগাস্কারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যদিও মাদাগাস্কার পাঠানোর পরিকল্পনাটি ছিল অবাস্তব, তবে এ সময়ও গণহত্যার বিষয়টি   আসেনি।

১৯৩৮ সালের জুলাইয়ে, ৩২ টি দেশের প্রতিনিধিরা জার্মানি থেকে পালিয়ে আসা ইহুদীদের শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার বিষয়ে আলোচনা করতে ফ্রান্সের ইভিয়েন সন্মেলনে একটি বিশেষ বৈঠক করেন। এই দেশগুলির অনেক প্রতিনিধিই মহামন্দার সময় তাদের নিজস্ব জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো এবং চাকরী প্রদানে বিভিন্ন অসুবিধার কথা বলেছিলেন।

প্রায় প্রতিটি প্রতিনিধিই জানিয়েছিলেন, তাদের নিজস্ব সমস্যাই অনেক প্রবল এবং তারা তাদের শরণার্থী কোটা এমতাবস্থায় বাড়াতে পারবে না। মতান্তরে, এখানে তারা ইহুদী নাগরিকদের কথাই বলেছিলেন।

ইভিয়েন সন্মেলন সহ বিভিন্ন সন্মেলনে ইহুদীদের সম্পর্কে তৎকালীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনভাব সম্পর্কে জার্মান সরকার বেশ ভালভাবেই জানত। এ লক্ষে ইহুদীদের অন্য কোথাও প্রেরণের বিকল্প চিন্তা ছাড়াই নাৎসিরা তাদের ইহুদী নাগরিকদের গণহারে-হত্যার জন্য আলাদা পরিকল্পনা তৈরি করতে শুরু করে।

১৯৪১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে জার্মান আগ্রাসনের মাধ্যমে নাৎসিরা চূড়ান্ত সমাধানের সূচনা করে। এর প্রাথমিক কৌশলটি ছিল একটি মোবাইল কিলিং স্কোয়াড বাহিনী তৈরি, যা আইনস্টাটগ্রুপেনকে (Einsatzgruppen) বোঝানো হয়।

এ বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো ইহুদি এবং অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের নির্মূল করার জন্য।

আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen) সংগঠন

The_last_Jew_in_Vinnitsa_1941-min.jpg
The_last_Jew_in_Vinnitsa_1941-min.jpg

আইনস্টাটগ্রুপেন চারটি বিভাগে বিভক্ত ছিল, যার প্রত্যে্কটিতে ৫০০ থেকে ১,০০০ প্রশিক্ষিত জার্মান সেনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। আইনস্টাটগ্রুপেনের অনেক সদস্যই একসময় এসডি (সিকিউরিটি সার্ভিস) বা সিচেরহাইটসপোলাইজি (সিকিউরিটি পুলিশ) -এর অংশ হয়েছিলেন।

প্রায় একশত ব্যক্তি  ক্রিমিনালপোলাইজির (ফৌজদারি পুলিশ) অংশ ছিল।

আইনস্টাটগ্রুপেনকে (Einsatzgruppen) কম্যুনিস্ট কর্মকর্তা, ইহুদী, রোমা (জিপসি) এবং অন্যান্য মানসিক বা শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের মতো জার্মানদের মতে অপ্রয়োজনীয়দের অপসারণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আইনস্টাটগ্রুপেন এর এ, বি, সি এবং ডি গ্রুপগুলি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে বা অঞ্চলগুলোতে বিশেষভাবে ফোকাস করেছিল;

  • আইনস্টাটগ্রুপেন এ: লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং এস্তোনিয়া সহ বাল্টিক দেশসমূহর দায়িত্তে ছিল
  • আইনস্টাটগ্রুপেন বি: পূর্ব পোল্যান্ড এবং বেলারুশের দায়িত্তে
  • আইনস্টাটগ্রুপেন সি: পশ্চিম ইউক্রেন এবং
  • আইনস্টাটগ্রুপেন ডি: দক্ষিণ ইউক্রেন এবং ক্রিমিয়া অঞ্চল

এই প্রতিটি অঞ্চলে আইনস্টাটগ্রুপেন ইউনিটের ৩,০০০ জার্মান সদস্যকে স্থানীয় পুলিশ ও বেসামরিক নাগরিকরা সাহায্য  করেছিল। তারা প্রায়শই স্বেচ্ছায় তাদের সাথে সহযোগিতা করেছিল।

এছাড়াও, আইনস্টাটগ্রুপেন ওয়েদারমাচ্ট সরবরাহ করার সময়, প্রায়শই সেনা ইউনিটগুলি গণহত্যার আগে ক্ষতিগ্রস্থদের কবরস্থানের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করত। 

খুনি হিসাবে আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen)

download.jpg

আইনস্টাটগ্রুপেনের বেশিরভাগ গণহত্যা একটি ধারাবাহিক ফর্ম্যাট অনুসরণ করে হচ্ছিলো। ওয়েহরম্যাচট (Wehrmacht) এর দ্বারা কোনও অঞ্চল আক্রমণ ও দখলের পরে আইনস্টাটগ্রুপেন এবং তাদের স্থানীয় সহায়তাকারী সদস্যরা স্থানীয় ইহুদি জনগোষ্ঠী, কমিউনিস্ট কর্মী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ঘিরে রাখত।

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য শহর বা গ্রামের বাইরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার আগে, এই হতভাগ্য মানুষগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় স্থানে যেমন একটি সিনাগগ বা শহরের নির্দিষ্ট যায়গায় রাখা হত।

ফাঁসির স্থানগুলো ছিল সাধারণত একপ্রকার প্রাকৃতিক গর্ত, নালা বা পুরাতন কোনও গণকবর। জোর করে শ্রমের মাধ্যমে এ সকল স্থান আগে থেকেই প্রস্তুত করা হত।

যে সকল ব্যক্তিকে হত্যা করা হবে, তাদের পায়ে হেঁটে বা জার্মান সামরিক সরবরাহকৃত ট্রাকে করে এই স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো।

এ সকল ব্যক্তিরা যখন গণকবরে পৌঁছাত, জল্লাদরা তাদের পোশাক ও মূল্যবান জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে জোর করে গর্তের ধারে তাদের উঠতে বাধ্য করত। তখন এ মানুষগুলোকে আইনস্টাটগ্রুপেন বা তাদের সহায়তাকারী সদস্যরা গুলি চালাত।

কিছু হতভাগ্য ব্যক্তি তত্ক্ষণাত্ মারা যেত না, তবে তাদের মৃত্যু হতো ধীর এবং বেদনাদায়ক ।

ভুক্তভোগীরা যখন মারা যাচ্ছিল, আইনস্টাটগ্রুপেন (Einsatzgruppen) এর অন্যান্য সদস্যরা এ সব মানুষদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আলাদাভাবে বাছাই করতো। এবং এই জিনিসপত্র গুলি জার্মানিতে ফেরত পাঠানো হতো তাদের স্থানীয় জনগণের কাছে নিলা্মে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য।

আইনসটগ্রগ্রুপেন এর ক্রিয়াকলাপ অন্যান্য জার্মান সামরিক প্রয়োজনের জন্য তহবিল ব্যবহার করার কাজে ব্যাবহার করা হতো।

গণহত্যা শেষে, গণকবরটি ময়লা দিয়ে আবৃত করা হতো। 

পরবর্তীতে, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্য যারা এই ঘটনাগুলিতে সাক্ষী বা সহায়তা করেছিল তাদের সাহায্য ব্যতীত গণহত্যার প্রমাণগুলি সনাক্ত করা প্রায়শই কঠিন ছিল মিত্র বাহিনীর কাছে।

আইনস্টাটগ্রুপেনের বৃহত্তম গণহত্যার ঘটনাটি ঘটেছিলো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাইরে ১৯৪১ সালের ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর। এখানেই আইনস্টাটগ্রুপেনের সি টিম প্রায় ৩৩,৭৭১ জন ইহুদিকে বাবি ইয়ার নামে অভিহিত একটি যায়গায় হত্যা করেছিল।

সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইহুদি্রা নির্যাতনের শিকার হওয়ার পরে, স্থানীয় অঞ্চলের অন্যান্য নাগরিক যেমন রোমা (জিপসি) এবং প্রতিবন্ধীদের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত বলে গণ্য মানুষদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল এবং তাদের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

এখানকার মোট হিসাবে, আনুমানিক ১,০০,০০০ মানুষকে এই সাইটে সমাধিস্থ করা হয় বলে জানা গেছে।

গণহত্যা শুরুর কয়েক মাসের মধ্যেই আইনস্টাটগ্রুপেনের নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন যে গুলিকরে মারার সময় তাদের মধ্যে এক ধরণের উচ্চ আবেগ কাজ করছে।

আসলে আইনস্টাটগ্রুপেন সদস্যদের মদ খাওয়ার পরিমাণ যথেষ্ট ছিল না। ১৯৪১ সালের আগস্টের মধ্যে নাৎসি নেতারা নতুন কোন উপায় অনুসন্ধান করছিলেন, এবং যার ফলে তারা গ্যাস ভ্যান আবিষ্কার করেছিলেন। গ্যাস ভ্যানগুলি ছিল একধরনের ট্রাক যা হত্যার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল।

হতোভাগ্যদের ট্রাকের পিঠে উঠানো হতো এবং তারপরে একপ্রকারের গ্যাস বল এ ট্রাকে নিক্ষেপ করা হতো।গ্যাস ভ্যানগুলি বিশেষত মৃত্যু শিবিরে ইহুদিদের হত্যার জন্য নির্মিত গ্যাস চেম্বারের একটি প্রি মডেল ছিল।

অপরাধ ঢাকা দেয়ার চেষ্টা

Einsatzgruppe_shooting.jpg
Einsatzgruppe_shooting.jpg

প্রথমে নাৎসিরা তাদের অপরাধ লুকাতে কোন চেষ্টাই করেনি। তারা স্থানীয় জনগণকে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে দিনের বেলাতেই হত্যা করেছিল। যাইহোক, হত্যার এক বছর পরে, নাৎসিরা ১৯৪২ সালের জুনে প্রমাণগুলি অপসারণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

এই পরিবর্তনটি আংশিক ছিল কারণ, বেশিরভাগ গণকবরগুলি খুব সাধারনভাবে ঢেকে দেয়া হয়েছিল। যার ফলে এ গণকবরগুলো  স্বাস্থ্যের ঝুঁকি হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল এবং এ নৃশংসতার খবর পশ্চিমা বিশ্বে প্রকাশিত হতে শুরু করেছিল।

গণ কবর ধ্বংস করার জন্য পল ব্লোবেলের নেতৃত্বে সন্ডারকোমন্ডো ১০০৫ নামে একটি দল গঠন করা হয়েছিল। চেল্মনো ডেথ ক্যাম্পে এ দলটি কাজ শুরু করে এবং এর পরবর্তীতে ১৯৪৩ সালের জুনে সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলকৃত অঞ্চলে অভিযান শুরু হয়েছিল।

প্রমাণগুলি অপসারণ করার জন্য, সন্ডারকোমন্ডোদের বন্দীরা (বেশিরভাগ ইহুদিরা) গণকবর খনন করে, লাশগুলিকে অন্য এক স্থানে স্থানান্তরিত করে, দেহ পুড়িয়ে দেয়, হাড় চূর্ণ করে এবং ছাই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিল। যখন কোনও অঞ্চল পরিস্কার হয়ে যায়, তখন ইহুদি বন্দীদেরও হত্যা করা হয়েছিল।

অনেকগুলি গণকবর খনন করা অবস্থায়, এবং আরও অনেকগুলি এখনও সে সময়ের সৃতি চিনহ বয়ে বেড়াচ্ছে।

আইনস্টাটগ্রুপেনের যুদ্ধোত্তর বিচারসমূহ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জার্মান শহর নুরেমবার্গে একের পর এক পরীক্ষা চালিয়েছিল। নুরেমবার্গ ট্রায়ালগুলির মধ্যে নবমটি ছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ওটো ওহেলেন্ডারফ এট আল (যা “আইনস্টাটগ্রুপেন ট্রায়াল” হিসাবে বেশি পরিচিতজ।

যেখানে আইনস্টাটগ্রুপেনের (Einsatzgruppen) বিভিন্ন স্তরের ২৪ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ৩ জুলাই, ১৯৪৪ থেকে এপ্রিল ১০, ১৯৪৮ পর্যন্ত সময়ের জন্য বিচারের ব্যাবস্থা করা হয়েছিল।

আসামীদের বিরুদ্ধে নিম্নলিখিত এক বা একাধিক অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল:

  • মানবতা বিরোধী অপরাধ
  • যুদ্ধ অপরাধ
  • একটি অপরাধমূলক প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ গ্রহণ

২৪ আসামির মধ্যে ২১ জনকে উপরের তিনটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। অন্য দুজনকে কেবলমাত্র “অপরাধমূলক সংস্থার সদস্যপদ” হিসাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল এবং অন্য একজনকে সাজা দেওয়ার আগেই স্বাস্থ্যের কারণে বিচার থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল (ছয় মাস পরে তার মৃত্যু হয়)।

দোষীদেরকে মৃত্যুদণ্ড থেকে শুরু করে কয়েক বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার সাজা দেয়া হয়। মোট ১৪ জনকে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়, দুজনকে কারাগারের জীবন দেওয়া হয়েছে এবং চারজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর একজন সাজা ভোগের আগেই আত্মহত্যা করেছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে কেবল চারজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত অনেকেরই সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

গণহত্যার দলিলি করণ

হলোকাস্টের পরের বছরগুলিতে অনেকগুলি গণকবর লুকানো অবস্থায় আবিষ্কার করা হয়। স্থানীয় জনগোষ্ঠী এ সবের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিল তবে তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত ছিল নয়া।

২০০৪ সালে, একজন ক্যাথলিক যাজক, ফাদার প্যাট্রিক ডেসবাইস, এই গণকবরের অবস্থান নথিভুক্ত করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা শুরু করেছিলেন।

যদিও লুটপাটের ভয়ে লোকেশনগুলি সেভাবে চিহ্নিত করা হয়নি, তবে এগুলোর অবস্থান ডেসবাইস এবং তার সংস্থা ইয়াহাদ-ইন উনুমের প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

আজ অবধি, তারা প্রায় ২,০০০ গণকবরের অবস্থান আবিষ্কার করেছে।

 

তথ্যসুত্রঃ-  https://encyclopedia.ushmm.org/content/en/article/einsatzgruppen

https://en.wikipedia.org/wiki/Einsatzgruppen

https://www.britannica.com/event/Holocaust/Murder-by-bullets-the-Einsatzgruppen-and-their-fellow-mobile-killers

https://www.throughtco.com/Einsatzgruppen

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top