machu-picchu-cusco-peru

মাচু পিচ্চু (Machu Picchu), ইনকা সভ্যতার অসামান্য নিদর্শন (স্থাপনা)।

মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) দক্ষিণ আমেরিকার অসামান্য ইনকা কীর্তি

ইনকা সভ্যতার অসামান্য নিদর্শন (স্থাপনা) মাচু পিচ্চু (Machu Picchu), আন্ডিস পর্বতমালার কর্ডিলেরা দে ভিলক্বাম্বায় (Cordillera de Vilcabamba) অবস্থিত। এটি পেরুর কুজকো (Cuzco) থেকে প্রায় ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। আন্ডিস পর্বতমালার ৭৭১০ ফুট (২,৩৫০ মিটার) উচ্চতায় মাচু পিচ্চুর দুটি শিখর রয়েছে। 

উরুবামবা নদীর উপত্যকার উপরে অবস্থিত এর একটির নাম মাচু পিচ্চু (“Old Peak”) এবং অন্যটি হুয়েনা পিচ্চু (“New Peak”)। প্রাক-কলম্বীয়ান কয়েকটি ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মাচু পিচ্চুকে মোটামুটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। ১৯৮৩ সালে ইউনেস্কো এ ইনকা স্থাপনাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত করে।

ইনকা সভ্যতার সাইটটি স্প্যানিশদের কাছে অনাবিষ্কৃত হওয়ায় মূলত ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে পেরেছিল। জার্মান দুঃসাহসিক অভিযাত্রী আগস্টো বার্নস (Augusto Berns) ১৮৬৭ সালে প্রথম এ স্থাপনটি দেখতে পেয়েছিলেন। তবে, ইয়েল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হীরাম বিংহাম (Hiram Bingham) এর দ্বারা ১৯১১ সালে “আবিষ্কার” না হওয়া অবধি মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) র অস্তিত্ব পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

তিনি  স্থানীয় কেচুয়া বাসিন্দা মেলচোর আর্টেগার সাথে এই সাইটে পৌঁছেছিলেন। বিংহাম ভিলকাবাম্বায় (ভিলকাপ্পাপা), “ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর” খুঁজছিলেন। এটি ছিল সেই স্থান, যেখান থেকে শেষ ইনকা শাসকরা স্প্যানিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ১৫৭২ সালের দিকে বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল। হীরাম বিংহাম ১৯১২ সালে মাচু পিচ্চু থেকে ইনকা প্রমাণ উদ্ধার করেছিলেন।

তার এ অভিযানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় স্পনসর করেছিল এবং ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি, তার আবিষ্কৃত সাইটটিকে ভিলকাম্বা হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলো, কিন্তু সেই চেষ্টাটি ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তবুও, অনেক উৎসাহী ঐতিহাসিক এখনও বিংহামের আবিষ্কার অনুসরণ করে ভুলভাবে মাচু পিচ্চুকে “ইনকাদের হারিয়ে যাওয়া শহর” হিসাবে চিহ্নিত করে। এর কিছু কাল পরে, তিনি ভিলকাবাম্বায় আরও একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছিলেন, যাকে, এস্প্রিটু পাম্পা (Espíritu Pampa) বলা হয়।

১৯৬৪ সালে এস্প্রিটু পাম্পায় আমেরিকান এক্সপ্লোরার জিন সাভয়ের নির্দেশে একটি খনন কাজ পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে সাইটটি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তবে সাভয়ের টিম প্রায় ৩০০ টি ইঙ্কা বাড়ি এবং ৫০ বা ততোধিক অন্যান্য বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি অবকাশ জাপন কেন্দ্র আবিষ্কার করে। এতে প্রমানিত হয় যে এস্পিরিটু পাম্পা অনেক বড় একটি ইনকা বসতি ছিল।

হীরাম বিংহামের মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) “আবিষ্কার”

peru-cusco-machu-picchu-ancient-citadel-machu-picchu-mountain
peru-cusco-machu-picchu-ancient-citadel-machu-picchu-mountain

১৯১১ সালের গ্রীষ্মে আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিক হীরাম বিংহাম (Hiram Bingham) স্পেনীয়দের দ্বারা পতন ঘটানো শেষ ইনকা দুর্গ ভিলকাবাম্বাকে খুঁজে পাওয়ার প্রত্যাশায় একটি ছোট্ট অভিযাত্রীর দল নিয়ে পেরুতে পৌঁছেছিলেন। পায়ে হেঁটে এবং গাধার পিঠে চেপে, বিংহাম এবং তার দল পেরুর কুজকো তে পৌঁছান। সেখান থেকে উরুবাম্বা উপত্যকায় উঠলে, স্থানীয় কৃষক তাদের কাছাকাছি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত কিছু ধ্বংসাবশেষের কথা তাদের বলেছিল।

কৃষকদের কাছে এই পর্বত মাচু পিচু নামে পরিচিত, এবং স্থানীয় কোচুয়া ভাষায় যার নাম “পুরানো শিখর”। ২৪ জুলাই, ঠাণ্ডা এবং প্রবহমান ঝরো বাতাস ঠেলে পাহাড়ের চূড়ায় আরোহণের পরে, বিঙ্গহাম এক কৃষক বালকের দেখা পেয়েছিলেন, যে তাদেরকে বাকি পথ দেখিয়েছিল। ১১ বছর বয়সী ছেলের নেতৃত্বে বিংহাম মাচু পিচ্চুর প্রবেশপথটি চিহ্নিত করে পাথরের টেরেসের জটিল স্থাপত্যের প্রথম ঝলকের দেখা পেয়েছিলেন।

উচ্ছ্বসিত বিংহাম তাঁর আবিষ্কার সম্পর্কে একটি সর্বাধিক বিক্রিত বই, “দ্য লাস্ট সিটি অফ দ্য ইনকাস” এ তার অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) নিদর্শনগুলি খনন করেছিলেন এবং আরও বিস্তারিত গবেষণার জন্য সেগুলি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যান। পেরু সরকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়কে চাপ দিয়েছিলো তাদের অতীত ইতিহাসকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু ইয়েল করতিপক্ষ এটি প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট  বারাক ওবামার হস্তক্ষেপে বিষয়টির সুরাহা হয়।

আরও পড়ুন- ইনকা সভ্যতা (Inca civilization) ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রাচীন ইতিহাস

মাচু পিচ্চুর ইঙ্কা অতীত

Machu_PicchuCiudad_de_Pisac.
Machu_PicchuCiudad_de_Pisac.

ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন, মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) ইনকা সাম্রাজ্যের উন্নতির শিখরে পৌঁছানোর সময়ে নির্মিত একটি স্থাপনা। ১৫ ও ১৬ শতকের দিকে ইনকারা দক্ষিণ-পশ্চিম আমেরিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। নির্মাণের আনুমানিক ১০০ বছর পরে এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। সম্ভবত স্পেনীয়রা ১৫৩০ এর দশকে প্রাক-কলম্বিয়ান সভ্যতা জয়ের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে এসে পৌঁছায়।

তবে এরকম কোন প্রমাণ নেই যে বিজয়ীরা কখনও ঐ পাহাড়ের চূড়ায় আক্রমণ করেছিল বা পৌঁছেছিল। এ কারণে, কেউ কেউ মনে করেন যে, একটি ছোটখাটো মহামারীর (যা স্প্যানিশরা ইউরোপ থেকে নিয়ে সেসেছিল) কারণে মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) বাসিন্দাদের মৃত্যু ঘটে। 

আধুনিক যুগের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এখন বিশ্বাস করেন, মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) ইনকা সম্রাট এবং সম্ভ্রান্তদের এক রাজকীয় সম্পদ হিসাবে কাজ করেছিল। অন্যরা তাত্ত্বিকভাবে অনুমান করেছেন যে, এটি একটি ইনকা ধর্মীয় স্থান ছিল। উঁচু পর্বতমালা এবং অন্যান্য ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারনে অনেকেই একে ইনকাদের পবিত্র স্থান বলে চিহ্নিত করেছিল।

মাচু পিচ্চু আবিষ্কারের পর প্রথম কয়েক বছর ধরে, কয়েক ডজন অনুমান নির্ভর গল্পের সূচনা ঘটে। বিদ্বানরা বিভিন্নভাবে এটি কারাগার, বাণিজ্য কেন্দ্র, নতুন ফসলের পরীক্ষার জন্য একটি স্টেশন, একটি মহিলা পশ্চাদপসরণ বা রাজ্যাভিষেকের জন্য বিশেষায়িত শহর হিসাবে বর্ণনা করেছেন ।

মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) খনন কাজ এবং উদ্ধারকৃত স্থাপনা সমুহ

machu-picchu-peru-during-daytime
machu-picchu-peru-during-daytime

১৯১৫ সালে হীরাম বিংহাম (Hiram Bingham), ১৯৩৪ সালে পেরুভিয়ান প্রত্নতাত্ত্বিক লুইস ই ভালকার্সেল (Luis E. Valcarcel) এবং ১৯৪০-১৯৪১ সালে পল ফেজোস মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) তে খনন কাজ পরিচালনা করেছিলেন। এ সময় কর্ডিলেরা দে ভিলাক্বাম্বা (Cordillera de Vilcabamba) জুড়ে চালানো অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, মাচু পিচ্চু ছিল এক ধরণের দুর্গম স্থান। এখানে, বিভিন্ন টাম্বোস (ভ্রমণকারীদের ব্যারাক, বা ইনস) এবং বিস্তৃত ইনকা সম্রাজ্যের সংকেতিক টাওয়ারগুলি বিদ্যমান ছিল।

মাচু পিচ্চুতে আবাসস্থান গুলো সম্ভবত ১৫ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ১৬ শতাব্দীর শুরু বা মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নির্মিত হয়েছিলো এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো দখল করা হয়েছিল। মাচু পিচ্চুর নির্মাণ শৈলী এবং অন্যান্য প্রমাণ থেকে বোঝা যায়, এটি শাসক পাচাকুটি ইনকা ইউপানকুই (১৪৩৮–১৪৭১) এর একটি প্রাসাদ কমপ্লেক্স ছিল।

১৯১২ সালে যখন সেখানে খনন করা হয়েছিল, তখন বেশ কয়েক ডজন কঙ্কাল উদ্ধার হয়। এদের বেশিরভাগই প্রাথমিকভাবে মহিলা হিসাবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে, বিঙ্গহাম মতামত দিয়েছিলেন যে মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) একটি অভিজাত মহিলা ইনকা গোষ্ঠী ছিল, যাদের সূর্য কুমারি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রযুক্তির সহায়তায় যদিও কিছু কঙ্কালকে পুরুষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তথাপি অনুপাতের দিক থেকে এবং শারীরিক বৈচিত্র্য বিবেচনায় বেশীরভাগই মহিলা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো। সাইটের পরিত্যক্ত হওয়ার কারণটিও অজানা, তবে পানির অভাব একটি কারণ হতে পারে।

সংরক্ষণের উচ্চ স্তর এবং ধ্বংসের সাধারণ বিন্যাস লক্ষণীয়। ১৯১১-এ বিঙ্গহাম মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) তে পৌঁছানোর সময় বেশ কয়েকটি টেরেস (পানি সরবরাহ ব্যাবস্থা) দেখতে পান, যা তখন স্থানীয় ইন্ডিয়ানরা ব্যবহার করছিল।

পাথরের ব্লক এবং পাদদেশগুলি অন্তর্নিহিত শিলায় খোদাই করা হয়েছিলো। এখানকার প্রধান বিল্ডিংগুলো  প্লাজা, আবাসিক অঞ্চল, টেরেস, এবং কবরস্থানের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছিলো। মূল প্লাজা, আংশিকভাবে প্রশস্ত চত্বর দ্বারা বিভক্ত করা হয়েছিলো, যা সাইটের উত্তর-কেন্দ্রীয় প্রান্তে অবস্থিত। দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে একমাত্র আনুষ্ঠানিক প্রবেশ পথটি রয়েছে, যা ইনকা ট্রেলের দিকে নিয়ে যায়।

মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) বেশিরভাগ কাজ সাদা গ্রানাইট পাথরের কাঠামোর উপরে করা হয়েছিলো। এরকমটা কুজকোতেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ধ্বংসাবশেষের দক্ষিণ অংশে স্যাক্রেড শিলা রয়েছে, এবং এটি সূর্যের মন্দির নামেও পরিচিত (এটিকে হীরাম বিংহাম সমাধি হিসাবে উল্লেখ করেছেন)।

মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) পশ্চিম অংশে মন্দির রয়েছে, যা অ্যাক্রোপলিস (Acropolis) নামেও পরিচিত। মন্দিরটি একটি প্রাচীরের তিনটি ট্র্যাপিজয়েডাল উইন্ডো (বৃহত্তম ইনকা আর্কিটেকচা হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত) দ্বারা গঠিত। এর প্রশস্ত হলটি ৩৫ ফুট (১০.৬ মিটার) দীর্ঘ এবং ১৪ ফুট (৪.২ মিটার) প্রশস্ত এবং এটি বহুভুজ বিশিষ্ট পাথর দ্বারা নির্মিত। এটি মেইন প্লাজার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এছাড়াও প্রধান প্লাজার নিকটে রয়েছে ইনটিহুয়ানা (সূর্যের হিচিং পোস্ট), এবং এটি একটি একক ইউনিট হিসাবে খোদাই করা হয়েছিলো। এটি ৬ ফুট (১.৮ মিটার) লম্বা একটি প্রশস্ত স্তম্ভ। ২০০০ সালে একটি ব্যবসায়িক চিত্রগ্রহণের সময় এই স্থাপনাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।

এখানকার ইনকা রাজকুমারীর প্রাসাদটি অত্যন্ত নকশাকৃত প্রস্তরগুলির দ্বি-স্তরের কাঠামো যা সম্ভবত ইনকা আভিজাত্যের একজন সদস্যকে এখানে রাখা হয়েছিল। ইনকা প্রাসাদটি কুলুঙ্গি দেয়াল দিয়ে তৈরি এবং একটি উঠান সহ কক্ষগুলি জটিল প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছিলো। মাচু পিচ্চুর অপর প্রান্তে, অন্য একটি পথ বিখ্যাত ইনকা ব্রিজের দিকে নিয়ে যায়। এটি একটি দড়ির কাঠামো যা উরুবামবা নদীটির উপরে নির্মিত।

আরও পড়ুনঃ- অ্যাজটেক সভ্যতা (Aztec Civilization), সংক্ষিপ্ত সময়ে সমৃদ্ধ সভ্যতাটি স্প্যানীয়দের হাতে যেভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। 

মাচু পিচ্চুর (Machu Picchu) বর্তমান অবস্থা

১৯৮৩ সাল থেকে মাচু পিচ্চু (Machu Picchu) ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এবং ২০০৭ সালে বিশ্বের নতুন সাতটি ওয়ান্ডার্সের মধ্যে একটি হিসেবে মনোনীত হয়। মাছু পিচ্চু পেরুর সর্বাধিক পরিদর্শন করা দর্শনিয় আকর্ষণ এবং দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বিখ্যাত ধ্বংসাবশেষ, যেখানে বছরে কয়েক লক্ষ মানুষ ভিজিট করে। পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাপ, আশেপাশের নগরায়ন এবং পরিবেশের অবক্ষয় এ সাইটকে ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে। এটি বেশ কয়েকটি বিপন্ন প্রজাতির আবাস স্থলও। ফলস্বরূপ, পেরু সরকার সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ধ্বংসাবশেষ রক্ষা এবং পাহাড়ের ক্ষয় রোধে পদক্ষেপ নিয়েছে।

 

তথ্যসূত্রঃ- https://www.history.com/topics/south-america/machu-picchu

https://www.thoughtco.com/about-machu-picchu-119770

https://www.britannica.com/place/Machu-Picchu

https://en.wikipedia.org/wiki/Machu_Picchu

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top