১৯৩৩ সালে, অ্যাডল্ফ হিটলার (১৮৮৯-১৯৪৫) জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। তিনি তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু এবং সহকর্মী জোসেফ গোয়েবেলসকে (১৮৯৭-১৯৪৫) জন সচেতনতা (public enlightenment) ও প্রচার বিষয়ক মন্ত্রীর পদে নিয়োগ করেছিলেন। এই ক্ষমতার ফলে, হিটলারের বিভিন্ন বক্তব্য এবং কার্যক্রম জনগণের কাছে উপস্থাপন করার দায়িত্ব গোয়েবেলসের উপর এসে পড়ে।
সমস্ত জার্মান গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা এবং জনগণের মনে ইহুদীবাদ বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করার মতো গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে। গোয়েবেলসের বিভিন্ন বিতর্কিত কার্যক্রম ইহুদি শিল্পী, সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, পরিচালক, পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনের সম্পাদকদের একপ্রকার বেকার হতে বাধ্য করেছিল। “অ-জার্মান” বলে বিবেচিত অনেক বই (বিভিন্ন প্রকাশনা) প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তিনি নাৎসি প্রচারমূলক চলচ্চিত্র এবং হিটলারের বিভিন্ন প্রকল্প প্রযোজনা ও প্রকাশনার নেতৃত্বও দিয়েছিলেন। গোয়েবেলস অনেকদিন ধরে এই পদে অসিন ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে হিটলারের অন্যতম সবচেয়ে অনুগত ব্যাক্তি হয়ে ওঠেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয় যখন নিশ্চিত তখন হিটলার আত্মহত্যা করেন, এবং এর পরের দিন, অর্থাৎ ১৯৪৫ সালের ১ মে, গোবেলস এবং তার স্ত্রী তাদের ছয়টি শিশুকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেন এবং পরে নিজেরা আত্মহত্যা করেছিলেন। প্রিয় পাঠক, হিটলারের ফ্যাসিবাদী নীতি বাস্তবায়নের জন্য সে সময়, হিটলারের যে কয়েকজন প্রধান ব্যাক্তি ছিলেন তার মধ্যে জোসেফ গোয়েবেলস অন্যতম। আজ আমরা তার সম্পর্কে জানবো।
জোসেফ গোয়েবেলস এর প্রথমদিকের জীবন

পল জোসেফ গোয়েবেলস জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৯৭ সালের, ২৯ শে অক্টোবর, জার্মানির রাইনডে অবস্থিত একটি শিল্প নগরী, রাইডেতে (Rheydt)। অস্টিওমাইলাইটিস (osteomyelitis), অস্থি মজ্জার ফোলাভাবের কারনে শৈশব কালে তিনি যে শারীরিক ত্রুটি অর্জন করেছিলেন। এ কারণে তরুণ গোয়েবালসকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় (১৯১৪-১৯১৮) জার্মান সেনাবাহিনীর চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।
এহেন অবস্থায়, তিনি একটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সেখানে সাহিত্য এবং দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পিএইচডি অর্জন করেন। হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জার্মান ভাষাতত্ত্ব বিষয়েও ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি।
এখানে অদ্ভুত একটা ব্যাপার রয়েছে। প্রিয় পাঠক, আপনারা কি সেটা জানেন? “ইহুদিবাদবিরোধী জোসেফ গোয়েবেলস জার্মানির প্রচার বিষয়ক মন্ত্রী পদে থাকা সত্ত্বেও, তাঁর কিছু প্রিয় স্কুলশিক্ষক ইহুদি ছিলেন এবং গোয়েবেলস একসময় কয়েকজন ইহুদী যুবতীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়ে পড়েছিলেন।”
১৯২০ এর দশকের প্রথমদিকে, সাংবাদিক, ওপন্যাসিক এবং নাট্যকার হিসাবে ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টা করার পরে, গোয়েবেলস জাতীয় সমাজতান্ত্রিক জার্মান ওয়ার্কার্স (নাৎসি) পার্টির সদস্য হন। যে পার্টি সে সময় জার্মান গর্ব এবং ধর্ম-বিরোধীতা প্রচার করছিল। এরই একপর্যায়ে গোবেলস সংগঠনের নেতা অ্যাডল্ফ হিটলারের সাথে পরিচিত হন।
এই সময়, আমেরিকার মহামন্দার ফলে সৃষ্ট মুদ্রাস্ফীতি, জার্মান অর্থনীতির ক্ষতি করেছিল, এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জার্মান নাগরিকদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে দিয়েছিল। হিটলার এবং গোবেলস উভয়েরই মতামত এমন ছিল যে, শক্তিশালী ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে জনসাধারনের উদ্দেশ্যে বিশেষ একটা কিছু প্রচার করতে হবে, যা এই অবস্থাতে নিজেদের কাজে লাগাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
হিটলার তাঁর চিন্তাভাবনাগুলি জনগণকে লিখিতভাবে জানাতে সক্ষম হয়েছিলেন গোয়েবেলসের দ্বারা এবং তার এ ধরনের কাজে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন তার প্রতি।
জোসেফ গোয়েবেলসের নাৎসি পার্টির শীর্ষে উঠে আসা

জোসেফ গোয়েবেলস খুব দ্রুতই নাৎসি পার্টির গুরুত্বপূর্ণ পদে আরোহণ করেছিলেন। প্রথমে তিনি পুঁজিবাদ বিরোধী দলের নেতা গ্রেগর স্ট্র্যাসার এর থেকে নিজের বিচ্ছেদ ঘটিয়েছিলেন। এই গ্রেগর স্ট্র্যাসার ছিলেন সেই ব্যাক্তি, যাকে তিনি প্রাথমদিকে সমর্থন করতেন।
পরবর্তীতে তিনি আরও রক্ষণশীল হয়ে ওঠেন এবং হিটলারের সাথে যোগ দেন। ১৯২৬ সালে, তিনি বার্লিনে একটি দলের জেলা নেতা নির্বাচিত হন। পরের বছর, তিনি ডের অ্যাগ্রিফ (দ্য অ্যাটাক) নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা যা নাৎসি পার্টির মতাদর্শকে সমর্থন করেছিল তার ভাষ্য প্রতিষ্ঠা করে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।
১৯২৮ সালে রেইখস্ট্যাগে গোয়েবেলস জার্মান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়, হিটলার তাকে নাৎসি পার্টির প্রচার পরিচালক পদে বসান। এই সক্ষমতার ফলে গোয়েবেলস হিটলারকে রূপকথার মতো একটি উজ্জ্বল চরিত্র এবং জার্মানদের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী একমাত্র নেতা হিসাবে রূপ দেওয়ার কৌশলটি বাস্তবায়ন করতে শুরু করেন।
তিনি একটি বিশাল রাজনৈতিক সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন, যেখানে হিটলার নতুন জার্মানির ত্রাণকর্তা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল। একটি ছিল একটি মাস্টার প্রচারনা, যার মাধ্যমে জোসেফ গোয়েবেলস হিটলারের চিত্র এবং ভয়েসকে উত্তেজিত ভাবে জনসন্মুখে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে মুভি ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন স্থাপন করেছিলেন।
এই জাতীয় ঘটনাবলী এবং কৌশল জার্মান জনগণকে এই বিষয়টি বোঝাতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল যে, কেবল হিটলারের প্রতি অটল সমর্থণের মাধ্যমেই তাদের দেশ তার সম্মান ফিরে পাবে।
হিটলারের প্রচারমন্ত্রী হিসেবে জোসেফ গোয়েবেলসের ভুমিকা
১৯৩৩ সালের জানুয়ারিতে হিটলার জার্মান চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন এবং সেই বছরের মার্চ মাসে তিনি গোয়েবেলসকে দেশের জনসাধারণের জ্ঞানদান ও প্রচার মন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। এই ক্ষমতার ফলে, গোয়েবেলসের জার্মান পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বই, সংগীত, চলচ্চিত্র, মঞ্চ নাটক, রেডিও প্রোগ্রাম এবং চারুকলা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়বস্তুর উপর সম্পূর্ণ এখতিয়ার ছিল।
তাঁর মিশন ছিল হিটলারের সমস্ত বিরোধীতাকে সেন্সর করা এবং ইহুদী জনগণের প্রতি ঘৃণা জাগিয়ে তুলতে চ্যান্সেলর এবং নাৎসি পার্টিকে সবচেয়ে ইতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করা।
১৯৩৩ সালের এপ্রিলে হিটলারের নির্দেশে গোয়েবেলস ইহুদীদের ব্যবসাকে বয়কট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরের মাসে, তিনি বার্লিনের অপেরা হাউজে একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে “অ-জার্মান” বই পুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এক দিকনির্দেশক শক্তি হিসাবে কাজ করেছিলেন।
জার্মান বংশোদ্ভূত লেখক এরিক মারিয়া রেমার্ক (১৮৯৮-১৯৭০), আর্নল্ড জুইগ (১৮৮৭-১৯৬৮), টমাস মান (১৮৭৫-১৯৫৫), আলবার্ট আইনস্টাইন (১৮৭৯-১৯৫৫) হেনরিচ মান (১৮৭১-১৯৫০), এমিল জোলা (১৮৪০-১৯০২), হেলেন কেলার (১৮৮০-১৯৬৮), মার্সেল প্রাউস্ট (১৮৭১-১৯২২), আপটন সিনক্লেয়ার (১৮৭৮-১৯৬৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড (১৮৫৬-১৯৩৯), এইচজি ওয়েলস (১৮৬৬-১৯৪৬), জ্যাক লন্ডন (১৮৭৬-১৯১৬) এবং আন্দ্রে গিড (১৮৬৯-১৯৫১) সহ কয়েক ডজন অ-জার্মান লেখকের প্রকাশনা ধ্বংস হয়ে যায় তার নির্দেশে।
১৯৩৩ সালের সেপ্টেম্বরে জোসেফ গোয়েবেলস নব গঠিত রাইখ চেম্বার অফ কালচারের (Reich Chamber of Culture) পরিচালক নির্বাচিত হন। যার লক্ষ্য ছিল সৃজনশীল চারুকলার সব দিক নিয়ন্ত্রণ করা। চেম্বার গঠনের একটি অফশুট ছিল লেখক, সংগীতশিল্পী, থিয়েটার এবং চলচ্চিত্রের অভিনেতা ও পরিচালক সহ সমস্ত ইহুদী সৃজনশীল শিল্পীদের জোর করে বেকারত্বে ফেলা।
নাৎসিরা আধুনিক শিল্পকে অনৈতিক হিসাবে দেখছিল বলে গোয়েবেলস নির্দেশ দিয়েছিলেন এই জাতীয় সমস্ত “ক্ষয়িষ্ণু” শিল্পকে বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং প্রতিস্থাপনযোগ্য এবং বিষয়বস্তুতে সংবেদনশীল এমন কাজগুলির দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হবে। এরপরে, অক্টোবরে রাইখ প্রেস আইনটি পাস হয়, যা জার্মান পত্রিকা এবং ম্যাগাজিনগুলি থেকে সমস্ত ইহুদী এবং অ-নাৎসি সম্পাদকদের অপসারণের নির্দেশ দেয়।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে, গোয়বেলসকে জার্মান জনগণের চেতনা উন্নীত করা এবং মিডিয়া ও বিশেষত সিনেমাকে সচেতনতার কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিলো। জার্মান জনগণ যাতে যুদ্ধকে সমর্থন করে, সে জন্য তাকে জনগণকে বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। গোয়বেলস পরিচালিত একটি সাধারণ চলচ্চিত্র হল “ডের ইভিজ জুড”, এটি “দ্য ইটার্নাল ইহুদি” (১৯৪০) নামেও পরিচিত।
এটি একটি প্রচারমূলক চলচ্চিত্র যা ইহুদীদের ইতিহাসকে স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেছিল। ফিল্মে, ইহুদীদেরকে পরজীবী হিসাবে দেখানো হয়েছে, এবং এরা পরিচ্ছন্ন একটি বিশ্বের উন্নতিকে যে বিঘ্নিত করছে, সেটা ছিল এর উপজীব্য বিষয়। গোয়েবেলস “জুড স্যাস” (১৯৪০) এর প্রযোজনাও করেছিলেন।
আরও পড়ুনঃ- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (second world war) পরের ইহুদী মাইগ্রেশন
জোসেফ গোয়েবেলস শেষ অবস্থা

১৯৪২ সালে, গোয়েবেলস “সোভিয়েত প্যারাডাইস” নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এটি ছিল একটি বিশাল নাৎসি প্রচার অনুষ্ঠান যা বার্লিনে প্রদর্শিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল ইহুদী বলশেভিকদের মানুষিকতা উন্মোচন করে জার্মান জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করা। ১৮ ই মে, বার্লিন-ভিত্তিক জার্মান-ইহুদী নেতা হারবার্ট বাউম এবং তার সহযোগীরা এই প্রদর্শনীতে আগুন লাগিয়ে আংশিকভাবে ভেঙে ফেলেছিলেন।
যদিও গোয়েবেলস এই কাজটি জার্মান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল। তবুও, বাউম এবং তার ছোট কিন্তু দৃঢ় সংকল্প বাহিনী, গোয়েবেলস এবং তার প্রচার ব্যাবস্থাকে একটি বড় আকারের মানসিক আঘাত করতে সক্ষম হয়েছিল।
যুদ্ধ যখন তীব্র আকার ধারণ করেছিল, জার্মানির হতাহতের ঘটনা ততই বাড়তে থাকে। এ সময় গোয়েবেলস মিত্রবাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের প্রবক্তা হয়ে ওঠেন। এই ক্ষেত্রে, তিনি জনসাধারণকে আরও উসকে দেওয়ার জন্য পাবলিক স্পিকার হিসাবে তার নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়েছিলেন।
একবার, ১৯৪৪ সালের আগস্টে, বার্লিনের স্পোর্টস প্যালেস থেকে বক্তৃতা করে তিনি জার্মান জনগণকে যুদ্ধে সম্পূর্ণ জার্মান প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আদেশ দেন। জার্মানি যদি যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, জার্মান জাতির এবং জনগণকে নির্মূল করাই উপযুক্ত হবে।
১৯৪৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানদের পরাজয় নাৎসি শাসনের পতনের পক্ষে একপ্রকার অনিবার্যই মনে হচ্ছিল। অন্য নাৎসি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা জার্মানির আত্মসমর্পণের পরে তাদের সাথে যাতে ভালো আচরণ করা হয় সে বিষয়ে মিত্র নেতাদের সাথে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু হেনরিখ হিমলারের মতো গোয়েবেলস পিছু হটে যান নি। বরং তিনি দৃঢ়ভাবে হিটলারের প্রতি অনুগত ছিলেন।
১৯৪৫ সালের এপ্রিলের শেষ দিনগুলিতে, যখন সোভিয়েত সেনারা বার্লিনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল, তখন হিটলার তার বাঙ্কারে ঢুকে পড়েছিলেন। গোবেলস ছিলেন হিটলারের পক্ষে একমাত্র সিনিয়র নাৎসি কর্মকর্তা। ৩০ এপ্রিল, হিটলার ৫৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন এবং গোয়েবেলসকে জার্মানির চ্যান্সেলর হিসাবে স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। তবে গোয়েবেলসের রাজত্ব একেবারেই স্বল্পকালীন ছিল।
পরের দিন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ম্যাগদা তাদের ছয় সন্তানকে মারাত্মক বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করেছিলেন। এরপরে এই দম্পতি তাদের নিজের জীবনও নিয়ে নিয়েছিল। যদিও তারা কীভাবে মারা গিয়েছিল তার বিবরণ বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকমভাবে দিয়েছিলো, কিন্তু মৃত্যুর প্রকৃত ধরনটি এখনো অজানা।
তথ্যসূত্রঃ- https://en.wikipedia.org/wiki/Joseph_Goebbels
https://www.history.com/topics/world-war-ii/joseph-goebbels
https://www.pbs.org/wgbh/americanexperience/features/goebbels-biography/