১৯২৯ সাল থেকে শুরু হওয়া মহামন্দা থেকে আমেরিকান অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট দ্বারা গৃহীত একাধিক প্রোগ্রাম এবং প্রকল্প হ’ল নিউ ডিল (New Deal)। ১৯৩৩ সালে রুজভেল্ট যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন, তখন চলমান মহামন্দা থেকে তিনি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন, চাকুরি প্রদান এবং ত্রাণ সরবরাহের জন্য দ্রুত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী আট বছরে, আমেরিকান সরকার সিসিসি, ডাব্লুপিএ, টিভিএ, এসইসি (CCC, the WPA, the TVA, the SEC) এবং অন্যান্য বেশ কিছু প্রকল্প পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছিল। এসব প্রকল্পকে মূলত একত্রে নিউ ডিল (New Deal) বলা হয়ে থাকে।
প্রকৃতপক্ষে এগুলো ছিল বিভিন্ন প্রোগ্রাম এর সমন্বয়ে তৈরি একটি সিরিজ। রুজভেল্ট গৃহীত নিউ ডিল (New Deal) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারাল সরকারকে এর আকার ও সুযোগ বাড়িয়ে অর্থনীতিতে এর ভূমিকা প্রসারিত করে তুলেছিল। সেই সাথে আমেরিকান অর্থনীতিকে স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করার সুযোগ করে দিয়েছিলো।
আমেরিকান জনগণের জন্য নিউ ডিল (New Deal)
১৯৩৩ সালের ৪ মার্চ সবচেয়ে খারাপ সময়ে নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল প্লাজায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে প্রথম উদ্বোধনী ভাষণটি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “First of all,” “let me assert my firm belief that the only thing we have to fear is fear itself.”
তিনি জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন “সাময়িক খারাপ সময়ের বাস্তবতার” মুখোমুখি হয়ে তিনি দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেবেন এবং আমেরিকানদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি “চলমান খারাপ অবস্থার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন”।
তাঁর ভাষণটি সেখানে উপস্থিত অনেকের মনে আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছিল, সেই সাথে অন্যান্য জনগণ এটাই ভেবছিল যে তারা এমন একজন ব্যক্তিকে নির্বাচিত করেছেন যিনি জাতির সমস্যা সমাধানের জন্য সাহসী পদক্ষেপ নিতে ভয় পান না।
“আপনি ক জানেন? মহামন্দার সময় কয়েকটি শহরে বেকারত্বের মাত্রা হতবাক করার মতো স্তরে পৌঁছেছিল: ১৯৩৩ সালের মধ্যে ওহিওর টলেডোতে বেকারত্ব ৮০ শতাংশে পৌঁছেছিল এবং ম্যাসাচুসেটস এর লোয়েলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছিল।”
এর পরের দিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল মানুষগুলো ব্যাংক থেকে তাদের শেষ সঞ্চয় টুকুও এ সময় উত্তোলন করতে থাকে। রুজভেল্ট এ ধরণের কাজ থেকে জনসাধারণকে বিরত রাখতে চার দিনের ব্যাঙ্ক ছুটি ঘোষণা করেন।
নিউ ডিল (New Deal) এর আওতায় ১৯৩৩ সালের ৯ মার্চ, মার্কিন কংগ্রেস রুজভেল্টের জরুরী ব্যাংক সংস্কার আইনটি পাস করে। প্রেসিডেন্টের এ সিদ্ধান্ত এবং তার ফলে জারী হওয়া আইনটি প্রায় দেউলিয়া হয়ে পড়া ব্যাংকগুলিকে পুনর্গঠিত করতে সাহায্য করেছিল। যে ব্যাংকগুলি একেবারেই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলো তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
তিন দিন পর তার প্রথম “ফায়ারসাইড আড্ডায় (The Fireside Chats)”, রাষ্ট্রপতি আমেরিকানদের তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার আহ্বান জানান এবং মাসের শেষের দিকে তাদের প্রায় তিনটি চতুর্থাংশ পুনরায় চালু হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ- ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, চার বার যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট
প্রথম ১০০ দিনের গৃহীত পদক্ষেপ
গ্রেট ডিপ্রেশন (Great Depression) এর ইতি টানার জন্য নিউ ডিল (New Deal) বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে রুজভেল্ট বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং উপায় সন্ধান শুরু করেছিলেন। তার পরিকল্পনার এ দিনগুলোকে “প্রথম ১০০ দিনের পরিকল্পনা” (First 100 Days Plan) হিসাবে ইতিহাসে বিশেষ পরিচিতি অর্জন করেছিল।
মে মাসে, তিনি টেনেসি ভ্যালি অথরিটি আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি টিভিএ (TVA) তৈরি করেছিলেন এবং ফেডারেল সরকারকে টেনেসি নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের অনুমদন দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন প্রকল্পটি সম্পাদন করা সম্পন্ন হলে এটি এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এবং একই সাথে সাশ্রয়ী উপায়ে জলবিদ্যুৎ উত্পাদন করাও সম্ভব হবে।
একই মাসে, কংগ্রেস আর একটি বিল পাস করে যা গম, দুগ্ধজাত পণ্য, তামাক এবং ভুট্টার মতো পণ্য উত্পাদনকারী কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে দুরবস্থার অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে। সেই সাথে পন্যের দাম বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন তিনি।
জুনে পাস হওয়া জাতীয় শিল্প পুনরুদ্ধার আইন, একটা নিশ্চয়তা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছিলো। এ আইনের ফলে শ্রমিকদের উচ্চ মজুরি প্রদান করা সম্ভব হবে এবং আরও ভাল কাজের সুযোগ তৈরি করার জন্য সম্মিলিতভাবে একীকরণের ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে, সেই সাথে দরকষাকষির অধিকারও থাকবে। কিন্তু কিছু কংগ্রেসম্যান এর বিরিধিতা এবং অবিশ্বাস এর কারনে আইনটি শেষ পর্যন্ত কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট অফিসে বসার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে, কৃষি সামঞ্জস্য আইন (Agricultural Adjustment Act), টেনেসি ভ্যালি কর্তৃপক্ষ আইন ( The Tennessee Valley Authority Act ), জাতীয় শিল্প পুনরুদ্ধার আইন (the National Industrial Recovery Act), গ্লাস-স্টিগাল অ্যাক্ট (the Glass-Steagall Act) (এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং বিল) এবং বাড়ির মালিকদের জন্য গৃহ ঋণ আইন সহ আরও ১২ টি বড় আইন (বিল) পাশ করেন।
প্রায় প্রতিটি আমেরিকান বিল বিষয়ে তিনি কিছু সন্তুষ্টি এবং অভিযোগ আশা করছিলেন। তবে এফডিআর (ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট) তার উদ্বোধনী ভাষণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ” তিনি যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন/নিবেন তা সবার কাছে স্পষ্ট হবে।
দ্বিতীয় নিউ ডিল (Secoend New Deal)
রাষ্ট্রপতি রুজভেল্ট গৃহীত নিউ ডিল (New Deal) প্রকল্প গ্রহণ এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, মহামন্দা অব্যাহত ছিল। বেকারত্ব অব্যাহত ছিল, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা অব্যাহত ছিল, সেই সাথে কৃষকদের দুরবস্থাও অব্যাহত ছিল। এর ফলে সাধারন মানুষের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিলো এবং তারা আরও মরিয়া হয়ে উঠেছিল।
এ অবস্থায় ১৯৩৫ সালের বসন্তে, রুজভেল্ট ফেডারাল সরকারের পক্ষ থেকে আরও একটি দ্বিতীয়, আক্রমণাত্মক কর্মসূচী চালু করেছিলেন। কখনও কখনও এটিকে দ্বিতীয় নতুন চুক্তি (Secoend New Deal) নামে পরিচিত।
এপ্রিল মাসে, তিনি বেকার লোকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ওয়ার্কস প্রগ্রেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডব্লিউপিএ) তৈরি করেছিলেন। তবে ডাব্লুপিএ প্রকল্পগুলিকে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা ডাকঘর, সেতু, স্কুল, মহাসড়ক এবং পার্কের মতো বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরিতে মনোনিবেশ করেছিলেন। ডাব্লুপিএ শিল্পী, লেখক, নাট্য পরিচালক এবং সংগীতশিল্পীদেরও বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত করেছিলো।
১৯৩৫ সালের জুলাইয়ে, জাতীয় শ্রম সম্পর্ক আইন প্রনয়ন করা হয়, এবং এটি ওয়াগনার আইন নামেও পরিচিত। এটি ইউনিয়ন নির্বাচন তদারকি করতে এবং ব্যবসায়ীদের তাদের শ্রমিকদের সাথে অন্যায় আচরণ করা থেকে বিরত রাখতে, জাতীয় শ্রম সম্পর্ক বোর্ড গঠন করে।
আগস্টে, ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট ১৯৩৫ সালের সামাজিক সুরক্ষা আইনে স্বাক্ষর করেন, যা লক্ষ লক্ষ আমেরিকানদের পেনশনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছিলো। তিনি বেকারদের জন্য বীমার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। একই সঙ্গে রুজভেল্ট অর একটি আইন করেন, যেখানে বলা হয়েছিলো ফেডারেল সরকার ছিন্নমুল নির্ভরশীল শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের যত্ন নিতে সহায়তা করবে।
১৯৩৬ সালে, দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারনার সময়, রুজভেল্ট ম্যাডিসন স্কয়ারে সমবেত হওয়া বিপুল জনতার কাছে বলেছিল যে ” সংগঠিত বিত্তশালী যারা আমাকে ঘৃণা করে “আমার প্রতি তাদের ঘৃণার সাথে আমি একমত এবং আমি তাদের এহেন অবস্থাকে স্বাগত জানাই।” আসলে সে সময় অনেকেই এফডিয়ার গৃহীত বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে ছিলেন।
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট, তার পূর্ববর্তী রাজনৈতিক ঐতিহ্য থেকে নিজেকে অন্য স্তরে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি সাধারণ আমেরিকানদের গেট ডিপ্রেশন-যুগের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে এর বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনে জিতেছিলেন।
এতো সব সত্ত্বেও, মহামন্দা কাটছিল না। শ্রমিকদের মধ্যে আরও জঙ্গিবাদী মনোভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বরে মিশিগানের ফ্লিন্টে একটি জিএম প্লান্টে ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্স ধর্মঘট ৪৪ দিন ধরে স্থায়ী হয় এবং ৩৫ টি শহরে প্রায় দেড় হাজার কারখানায় এটি ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৩৭ সালের মধ্যে বেশিরভাগ কর্পোরেট নেতাদের বিস্মিত করে প্রায় ৮০ লক্ষ শ্রমিক ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল এবং তাদের অধিকারের জন্য দাবি জানিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ- গ্রেট ডিপ্রেশন (Great Depression): মার্কিন অর্থনীতি সহ সারা বিশ্বে যার ঢেউ আছড়ে পড়েছিলো
নিউ ডিল (New Deal) এর সমাপ্তি?
এদিকে,নিউ ডিল (New Deal) নিজেই একের পর এক রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। ফেডারেল কর্তৃপক্ষ এটিকে একটি অসাংবিধানিক সম্প্রসারণের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে যুক্তি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রভাবে জাতীয় পুনরুদ্ধার প্রশাসন এবং কৃষি সামঞ্জস্য প্রশাসনের মতো সংস্কার উদ্যোগকে বাতিল করে দেয়া হয়েছিলো।
ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট তাঁর কর্মসূচিগুলিকে অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করার চেস্টা চালিয়েছিলেন। তিনি ১৯৩৭ সালে বিচার প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষ করার জন্য আদালতে পর্যাপ্ত উদারপন্থি বিচারপতি নিযুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন।
এই “কোর্ট-প্যাকিং” পরিকল্পনা প্রথমে অপ্রয়োজনীয় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল। তবে বেশ কিছু বাঁধা অতিক্রম করে, রক্ষণশীল বিচারপতিরা শেষ পর্যন্ত নিউ ডিল (New Deal) প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করার জন্য ভোট দেওয়া শুরু করেছিলেন। তার এ প্রকল্প গুলি বিরোধীদের অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়েছিলো।
একই বছর, সরকার তার গৃহীত পরিকুল্পনা বাস্তবায়ন ব্যয় কমিয়ে দিলে মার্কিন অর্থনীতি পুনরায় মন্দার দিকে ফিরে যায়। নিউ ডিল (New Deal) এর নীতিমালাগুলির যথার্থতা প্রমাণের পরেও, রুজভেল্ট বিরোধী মনোভাবের কারনে, এ সময় তার পক্ষে কোনও নতুন প্রোগ্রাম কার্যকর করা কঠিন হয়ে পড়েছিলো।
৭ ডিসেম্বর, ১৯৪১ সালে জাপানিরা পার্ল হারবার আক্রমণ করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রবেশ করেছিল। যুদ্ধের প্রচেষ্টা আমেরিকান শিল্পকে নতুনভাবে জাগিয়ে তোলে এবং ফলস্বরূপ, মহামন্দার চাপ অনেকটাই কার্যকরভাবে শেষ হয়ে যায়।
নিউ ডিল (New Deal) এবং আমেরিকান রাজনীতি
১৯৩৩ থেকে ১৯৪১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি রুজভেল্টের নিউ ডিল (New Deal) প্রোগ্রাম এবং নীতিগুলি কেবল সুদের হার সামঞ্জস্য করা, খামারের ভর্তুকির সাথে টিঙ্কার এবং স্বল্পমেয়াদী মেক-ওয়ার্ক প্রোগ্রাম তৈরির চেয়ে বেশি কিছু করেছিল।
তারা একদম নতুন কিছু তৈরি করেছিলো। নির্দলিয় রাজনৈতিক জোট, শেতাঙ্গ কর্মী, আফ্রিকান-আমেরিকান এবং বামপন্থী বুদ্ধিজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট মার্কিন অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছিলেন। রুজভেল্ট সরকারে সচিবিক পদের সংখ্যা বৃদ্ধি করায় আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছিলো, এবং এর অংশ হিসেবে মহিলারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে শুরু করেছিল।
এই গোষ্ঠীগুলি একে অপরের স্বার্থ খুব ভালোভাবেই রক্ষা করেছিল। তাদের মধ্যে এমন দৃঢ় বিশ্বাস তৈরি হয়েছিলো যে সরকার তাদের পরিবার, অর্থনীতি এবং জাতির পক্ষে ভাল কাজ করবে।
তাদের জোট সময়ের সাথে সাথে আজও অবিচ্ছিন্ন রয়ে গিয়েছে। অনেকগুলি নিউ ডিল (New Deal) কর্মসূচি যেগুলি এ সকল মানুষদের একসাথে আবদ্ধ করেছিল, তার অনেক গুলোই এখনো রয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম, বেকারত্ব বীমা এবং ফেডারেল কৃষি ভর্তুকি আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান রয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ- https://www.history.com/topics/great-depression/new-deal
https://en.wikipedia.org/wiki/New_Deal
https://www.thoughtco.com/top-new-deal-programs-104687