mongolia

মঙ্গোলিয়া! তথ্য, ধর্ম, ভাষা এবং এর ইতিহাস

আপনাকে যদি এভাবে প্রশ্ন করা হয় যে, বাংলাদেশের শিকড় কোথায়? উত্তর হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই আসবে কৃষি হল এদেশের শিকড়, যেখান থেকে সার্বিক চিন্তা ভাবনার সূচনা ঘটে। কিন্তু আপনি যদি মঙ্গোলিয়ার কথা বলেন তবে দেখতে পাবেন তাদের শিকড় গেথে রয়েছে পুরো মঙ্গোলিয়া জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাযাবর গোষ্ঠীদের মধ্যে এবং এ শিকড় নিয়ে তারা গর্ব করে।

এই ঐতিহ্য অনুসারে, মঙ্গোলিয়ের রাজধানী উলান বাটার (Ulaan Baatar) ছাড়া দেশটির অন্য কোনও বড় শহর নেই। তো চলুন আমরা একে একে মঙ্গোলিয়ার সারবিক বিষয়গুলো জেনে নিই।

মঙ্গোলিয়ার ইতিহাস

Mongolian Family
Mongolian Family

মঙ্গোলিয়ার একটি দীর্ঘ প্রাগৈতিহাসিক এবং একটি উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে। হুনস, যারা খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত মধ্য এশিয়ায় বসবাস করতো। ধারণা করা হয়, এই লোকেরা মঙ্গোলিয়ানদের পূর্বপুরুষ হতে পারে।

চেঙ্গিস খান এর দ্বারা খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে যাযাবর উপজাতির একটি সংযুক্ত গোষ্ঠী মঙ্গোলিয়ায় রাষ্ট্র গঠন করেছিল এবং তাঁর উত্তরসূরীরা একটি বিশাল মঙ্গোল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা এবং নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। মঙ্গোল সাম্রাজ্যের মধ্যে চীন, রাশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল। মঙ্গোল সাম্রাজ্য অবশেষে ধসে পড়ে এবং বিভক্ত হয়ে যায়। 

১৬৯১ সালে, চীনের কিং রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা মাঞ্চুস মঙ্গোলিয়া জয় করেছিলেন। যদিও “আউটার মঙ্গোলিয়া” র মঙ্গোলরা কিছুটা স্বায়ত্তশাসন ধরে রাখতে পেরেছিল, তবে তাদের নেতাদের চীনা সম্রাটের কাছে আনুগত্যের শপথ নিতে হয়েছিল। মঙ্গোলিয়া ১৬৯১ থেকে ১৯১১ পর্যন্ত কিং রাজবংশের শাসনে ছিল এবং কয়েক বছর স্বাধীন থাকার পরে আবার ১৯১৯ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত চীনের একটি প্রদেশে পরিণত হয়।

কিং রাজবংশ চীনে দুর্বল হওয়ার সাথে সাথে রাশিয়া মঙ্গোলিয়ান জাতীয়তাবাদকে উত্সাহিত করতে শুরু করে। ১৯১১ সালে মঙ্গোলিয়ায় কিং (Qing) শাসনের পতনের সাথে সাথে মঙ্গোলিয়ার ধর্মীয় নেতা বোগড গিজেন (Bogd Gegeen) বা বোগদ খান রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন।

তিনি মঙ্গোলিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, তবে কেবল চীনের প্রভাবশালীদের অধীনে স্বায়ত্তশাসন অর্জিত হয়েছিল। পরে মঙ্গোলিয়া চীন থেকে তাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। তবে চীনা সেনারা ১৯১৯ সালে পুনরায় আউটার মঙ্গোলিয়া দখল করে নেয়, এবং রাশিয়ানরা তাদের বিপ্লবের কারনে বিভ্রান্ত হয়েছিল।

তবে মস্কো ১৯২১ সালে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উর্গায় দখল করে নেয় এবং সেই সাথে আউটার মঙ্গোলিয়া ১৯২৪ সালে রাশিয়ার প্রভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৩৯ সালে জাপান মঙ্গোলিয়ায় আক্রমণ চালিয়েছিল কিন্তু সোভিয়েত-মঙ্গোলিয়ান সেনাবাহিনী তাদেরকে প্রতিহত করে।

Alaska Guardsmen depart for Mongolia
Alaska Guardsmen depart for Mongolia

১৯৬১ সালে মঙ্গোলিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়। সেই সময়, সোভিয়েত ও চীনাদের মধ্যে সম্পর্ক দ্রুতই খারাপ হচ্ছিলো। মাঝখানে মঙ্গোলিয়া নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করেছিল। এর কিছুকাল পরে, ১৯৬৬ সালের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন চীনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিপুল সংখ্যক স্থল সেনা মঙ্গোলিয়ায় প্রেরণ করে। মঙ্গোলিয়া ১৯৮৩ সালে তার জাতিগত চীনা নাগরিকদের বহিষ্কার করা শুরু করে।

প্রকৃতপক্ষে, ১৯২১ সাল থেকে ১৯৮০-এর দশক অবধি মঙ্গোলিয়ায় একদলীয় শাসন ব্যাবস্থা কার্যকর ছিল এবং দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে একটি সু সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল। এর ফলশ্রুতিতে দেশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহায়তা পেয়েছিল। এছাড়াও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি সমাজতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সোভিয়েত নির্দেশনা অনুসরণ করেছিল। 

১৯৮৭ সালে, মঙ্গোলিয়া ইউএসএসআর থেকে দূরে সরে যেতে শুরু করে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার পর ১৯৮৯ এবং ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রপন্থীরা মঙ্গোলিয়াতে বিক্ষোভ শুরু করে। ১৯৯০ সালের শুরুতে, মঙ্গোলিয়ায় একটি পরিবর্তন আনয়নের লক্ষে, নিরপেক্ষ বহুমুখী নির্বাচন, জোট সরকার, একটি নতুন সংবিধান, বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে মঙ্গোল জাতীয় ঐতিহ্যের উপর আরও জোর দিয়েছিল।

গ্রেট হুরালের জন্য প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন ১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৩ সালে মঙ্গোলিয়ায় প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গোলিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে উত্তরণের পরের দশকগুলিতে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল। দেশটি প্রথম দিকে ধীরে ধীরে কিন্তু অবিচ্ছিন্নভাবে বিকশিত হতে শুরু করে। এর ফলে, দেশের বৃহৎ একটি গোষ্ঠীর নিরপেক্ষ অবস্থানের কারনে কমিউনিস্টদের দ্বারা রাজনৈতিক ক্ষমতার একচেটিয়াংশের অবসান ঘটায়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এবং বাজারের অর্থনীতিতে রূপান্তর।

আরও পড়ুনঃ শ্রীলঙ্কাঃ তথ্য এবং ইতিহাস

মঙ্গোলিয়ার ভৌগলিক অবস্থান এবং জলবায়ু

Clouds-Mongolia-Suburb-Grassroots-Blue-Ulaanbaatar
Clouds Mongolia Suburb Grassroots Blue Ulaanbaatar

মঙ্গোলিয়া, ঐতিহাসিক ভাবে, উত্তর-মধ্য এশিয়াতে অবস্থিত ডিম্বাকৃতির একটি দেশ। মঙ্গোলিয়ার আয়তন ১৫,৬৪,০০০০ বর্গকিলোমিটার। দেশটি পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত ১৪৮৬ মাইল (২,৩৯২ কিমি) এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বাধিক,৭৮২ মাইল (১,২৫৯ কিমি) পর্যন্ত বিস্তৃত। মঙ্গোলিয়ার জমির আয়তন প্রায় পশ্চিম এবং মধ্য ইউরোপের দেশগুলির সমান। 

মঙ্গোলিয়া রাশিয়া এবং চীন মধ্যে অবস্থিত অনেকটা স্যান্ডউইচড এর মতো ল্যান্ডলকড একটি দেশ। দেশটির উত্তরের রাশিয়া এবং দক্ষিণে চীন অবস্থিত। দেশটি, তার নিকটবর্তী যে কোনও সমুদ্র বন্দর থেকে অনেক দূরে পূর্ব এশিয়ার একেবারে অভ্যন্তরের রয়েছে। দীর্ঘ শীত এবং স্বল্প শীত থেকে উত্তপ্ত গ্রীষ্ম সহ এই দেশে একটি চিহ্নিত মহাদেশীয় জলবায়ু বিদ্যমান।

দেশটিতে বিভিন্ন ধরণের উচুভূমি স্টেপিস, সেমিডারেটর এবং মরুভূমি রয়েছে, তবে পশ্চিম এবং উত্তর অঞ্চলে উচ্চ পর্বতশ্রেণী এবং হ্রদ পর্যায়ক্রমে দেখা যায়। মঙ্গোলিয়া মূলত সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৫,১৮০ ফুট (১,৫৮০ মিটার) উচ্চতা বিশিষ্ট একটি মালভূমি। মঙ্গোলিয়ার সর্বোচ্চ পয়েন্টটি আলতাই পর্বতমালার নায়রামাদলিন অর্গিল (Nayramadlin Orgil), যার উচ্চতা ৪,৩৭৪ মিটার (১৪,৩৫০ ফুট) এবং সর্বনিম্ন বিন্দু হুঁ নুর (Hoh Nuu), যা লম্বায় ৫১৮ মিটার (১০০০ ফুট)।

মঙ্গোলিয়ার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চল চারণভূমির সমন্বয়ে গঠিত যা প্রাণিদের বিচরণ ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ পরিচিত। অবশিষ্ট অঞ্চল বন এবং বন্ধ্যা মরুভূমির মধ্যে সমানভাবে বিভক্ত, তবে কিছু ফসলের জমির একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশটির কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মঙ্গোলিয়ার মোট জনসংখ্যা ত্রিশ লক্ষেরও কম, এবং দেশটিতে বিশ্বের যে কোনও দেশের থেকে সর্বনিম্ন গড় জনসংখ্যার ঘনত্ব বিদ্যমান।

মঙ্গোলিয়ায় খুব কম বৃষ্টিপাত হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী মৌসুমী তাপমাত্রা সহ একটি কঠোর মহাদেশীয় জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়।

মঙ্গোলিয়ায় শীতকালও দীর্ঘ এবং তীব্রতর শীতল আবহাওয়া বিরাজমান থাকে। জানুয়ারীতে গড় তাপমাত্রা -৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড অবধি থাকে। রাজধানী উলান বাটার পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল ও বায়ুযুক্ত। গ্রীষ্ম সংক্ষিপ্ত হলেও তাপমাত্রা বেশ গরম এবং গ্রীষ্মের দিকে বেশিরভাগ বৃষ্টিপাত হয়।

মঙ্গোলিয়ার সরকার ব্যাবস্থা

President of Russia Meeting with Prime Minister of Mongolia Ukhnaagiin Khürelsükh • President of Russia
President of Russia Meeting with Prime Minister of Mongolia Ukhnaagiin Khürelsükh • President of Russia

১৯৯০ সাল থেকে, মঙ্গোলিয়ায় বহু-দলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র চালু রয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সের সমস্ত নাগরিক ভোট দিতে পারবেন। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন রাষ্ট্রপতি, তবে কার্যনির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভা মনোনীত করেন, যা আইনসভা দ্বারা অনুমোদিত হয়। (অনেকটা বাংলাদেশের মতোই)

আইনসভা সংস্থাটিকে গ্রেট হুরাল (Great Hural) বলা হয়, যা ৭৬ জন প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত। মঙ্গোলিয়ায় একটি নাগরিক আইন ব্যবস্থা রয়েছে যা রাশিয়া এবং মহাদেশীয় ইউরোপের আইনগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিলো। সর্বোচ্চ আদালত হ’ল সংবিধানিক আদালত, যা মূলত সাংবিধানিক আইনের বিষয়গুলি দেখাভাল করে।

আরও পড়ুনঃ পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশ এবং এর প্রতিষ্ঠাকাল

জনসংখ্যা ও ভাষা

Wild Horses of Mongolia
Wild Horses of Mongolia

২০১০ এর দশকে মঙ্গোলিয়ার জনসংখ্যা ত্রিশ লক্ষেরও বেশি বেড়েছে। এছাড়া মঙ্গোলিয়ার চীনা সীমান্তে (যা চীনের অঞ্চল হিসেবে পরিচিত) আরও প্রায় চল্লিশ লক্ষ জাতিগত মঙ্গোল বাস করে।

মঙ্গোলিয়ার প্রায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী মূলত খালখা বংশের। প্রায় নয় শতাংশ নৃগোষ্ঠী দুর্বেট, দরিগঙ্গা এবং অন্যান্য গোত্র থেকে এসেছে। আনুমানিক পাঁচ শতাংশ মঙ্গোলিয়ান নাগরিকের তুর্কি নাগরিকত্ব রয়েছে, এরা মূলত কাজাখ এবং উজবেকীয় জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। এছাড়াও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মধ্যে টুভানস, টুঙ্গাস, চাইনিজ এবং রাশিয়ানরা মঙ্গলিয়ান জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তবে এদের সংখ্যা এক শতাংশেরও কম।

খালখা মঙ্গোল (Khalkha Mongol) হ’ল মঙ্গোলিয়ার সরকারী ভাষা এবং ৯০ শতাংশ মঙ্গোলিয়ানদের প্রাথমিক ভাষা এটি। মঙ্গোলিয়ায় ব্যবহৃত অন্যান্য ভাষার মধ্যে মঙ্গোলিয়, তুর্কি ভাষা (যেমন কাজাখ, টুভান এবং উজবেক) এবং রাশিয়ান ভাষা সহ বিভিন্ন উপভাষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

খলখা সিরিলিক বর্ণমালা দিয়ে রচিত। রাশিয়ান হ’ল মঙ্গোলিয়ায় সর্বাধিক প্রচলিত বিদেশী ভাষা, যদিও ইংরেজি এবং কোরিয়ান উভয়ই এখানে ব্যবহৃত হয়।

মঙ্গোলিয়ান ধর্ম

mongolia-karakoram-monastery-erdene-zuu
mongolia-karakoram-monastery-erdene-zuu

জনসংখ্যার প্রায় ৯৪ শতাংশ মঙ্গোলিয়ান তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের অনুশীলন করে। গিলুগপা বা “ইয়েলো হাট” তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের স্কুলটি ১৬ শতাব্দীতে মঙ্গোলিয়ায় বেশ সুনাম অর্জন করেছিল।

মঙ্গোলিয়ান জনসংখ্যার ছয় শতাংশ হল সুন্নি মুসলিম, এবং এরা মূলত তুর্কি এবং মঙ্গোলীয় উভয়েরই নাগরিক। মঙ্গোলিয়ানদের দুই শতাংশ ওঝা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, যারা এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্বাসকে অনুসরণ করে থাকে। মঙ্গোলিয়ান ওঝারা তাদের পূর্বপুরুষ এবং পরিষ্কার নীল আকাশের উপাসনা করে। 

মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতি

মঙ্গোলিয়ার অর্থনীতি খনিজ খনন, প্রাণিসম্পদ এবং পশুর পণ্য এবং বস্ত্রের উপর নির্ভর করে। খনিজ সম্পদগুলির মধ্যে তামা, টিন, স্বর্ণ, মলিবডেনাম এবং টংস্টেন প্রাথমিকভাবে রফতানি করে থাকে।

মঙ্গোলিয়ার মুদ্রা হল তুগ্রিক।

 

তথ্যসূত্রঃ https://www.thoughtco.com/mongolia-facts-and-history-195625

https://en.wikipedia.org/wiki/Mongolia

https://www.britannica.com/place/Mongolia

Mongolia Population.” WorldOMeters, 2019

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top