Ahmad_Massoud

“পাঞ্জিরের সিংহ” খ্যাত আহমদ শাহ মাসউদ; এক আফগান বীরের গল্প

২০০১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, দুপুরের দিকে উত্তর আফগানিস্তানের পর্বত্য সামরিক ঘাঁটি খাবাজে বাহা ওদ-দিনে (Khawaja Baha Uddin),তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ে একটি সাক্ষাত্কার দেয়ার জন্য আফগানিস্তানের উত্তর জোটের কমান্ডার আহমদ শাহ মাসউদ, উত্তর আফ্রিকার দুই আরব সাংবাদিক (তারা সম্ভবত তিউনিসিয়ান নাগরিক) এর সাথে সাক্ষাত করেন।

সে সময় হঠাৎ, টিভি ক্যামেরা বহন করা “সাংবাদিকদের” ছদ্মবেশে আসা এক আল-কায়েদা জঙ্গির আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মাসউদ গুরুতরভাবে আহত হন। “পাঞ্জিরের সিংহ নামে খ্যাত” মাসউদকে তাঁর লোকেরা দ্রুততার সাথে একটি জিপে করে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার এর আশায় অপেক্ষারত অবস্থায় মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে রাস্তায় তিনি মারা যান।

মাসউদের মৃত্যুর পরে, সেই তপ্ত পরিস্থিতিতে আফগানিস্তান একটি মধ্যপন্থী ইসলামী সরকারের অভাব অনুভব করতে শুরু করে এবং নিজ দেশের মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রন হারাতে শুরু করে এবং একই সাথে পশ্চিমা বিশ্ব আফগানিস্তান যুদ্ধে একটি মূল্যবান সম্ভাব্য মিত্রকে হারিয়ে ফেলে। এই ঘটনায় আফগানিস্তান একজন দুর্দান্ত নেতা হারালেও, মাসউদ একজন শহীদ এবং জাতীয় বীরের খেতাব অর্জন করেছিল।

আহমদ শাহ মাসউদের শৈশব ও তারুণ্য

আহমদ শাহ মাসউদ ১৯৫৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পাঞ্জির অঞ্চলের বাজরাকের একটি নৃতাত্ত্বিক তাজিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা দোস্ত মোহাম্মদ বাজরাকের পুলিশ কমান্ডার ছিলেন।

আহমদ শাহ মাসউদ যখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তেন, তখন তাঁর বাবা উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত শহরের পুলিশ প্রধান নির্বাচিত হন। প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তার ধর্মীয় পড়াশুনা, উভয়ই ক্ষেত্রেই মাসউদ একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। 

তার বাবা কাবুলের পুলিশ বাহিনীতে বদলি হওয়ার পরে আহমদ শাহ মাসউদ কাবুলের উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু করেন। মেধাবী ভাষাবিজ্ঞানী, এই যুবকটি ফারসি, ফরাসি, পশতু, হিন্দি এবং উর্দুতে পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং ইংরেজি ও আরবি ভাষায় বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র হিসাবে, মাসউদ মুসলিম যুব সংগঠনে (সাজমান-ই জওয়ানান-ই মুসুলমান) যোগ দিয়েছিলেন, এই সংগঠনটি আফগানিস্তানের কমিউনিস্ট শাসনের বিরোধিতা করেছিল এবং ফলে দেশে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বাড়িয়ে তুলেছিল। ১৯৭৮ সালে পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ দাউদ খান ও তার পরিবারকে পদচ্যুত করা এবং পরবর্তীতে হত্যা করা হলে, আহমদ শাহ মাসউদ পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান, তবে শীঘ্রই তিনি পানশিরে তাঁর জন্মভূমিতে ফিরে এসে একটি সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন।

এ সময় নতুন প্রতিষ্ঠিত হার্ড-লাইন কমিউনিস্ট শাসন আফগানিস্তানের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন কারনে আনুমানিক ১,০০,০০০ নাগরিককে হত্যা করা হয়। মাসউদ এবং তার দুর্বল-কিন্তু সংগঠিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী নতুন, প্রতিষ্ঠিত কমিউনিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে দু’মাস ধরে লড়াই করেছিল। ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে, তার সৈন্যদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে এসেছিলো এবং এ সময় ২৫ বছর বয়সী মাসউদ পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে আহত হয়েছিলেন। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল।

সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে কার্যকরী এক মুজাহিদিন নেতা

২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭৯, এ সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করে। আহমদ শাহ মাসউদ তৎক্ষণাৎ সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করেছিলেন (যেহেতু বছরের প্রথম দিকে আফগান কমিউনিস্টদের উপর সম্মুখ আক্রমণটি ব্যর্থ হয়েছিল)। মাসউদের গেরিলা যোদ্ধারা সালাং পাসে সোভিয়েতদের অত্যাবশ্যক সরবরাহের পথ অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল এবং ১৯৮০-এর দশকেও তারা এ অবরোধ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো।

১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর সোভিয়েত বাহিনী দু’বার করে বড় ধরনের আক্রমণ চালাতো পানশিরে মাসউদের অবস্থান লক্ষ করে। তবুও মাসুদের ১,০০০-৫,০০০ মুজাহিদিনের বহর সোভিয়েত ট্যাঙ্ক, কামান, এবং বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে সজ্জিত ৩০,০০০ সোভিয়েত সেনার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে প্রতিটি আক্রমণকে প্রতিহত করেছিল। এই বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের ফলে আহমদ শাহ মাসউদ “পানশিরের সিংহ” ডাকনাম অর্জন করেছিলেন। ফার্সী ভাষায় শির-ই-পানশির, কে আক্ষরিক অর্থে “পাঁচটি সিংহের সমন্বয় হিসেবে উল্লেখ করা হতো”)।

আরও পড়ুনঃ- আফগানিস্তানে তালেবানদের ইতিহাস; তারা কে, কি চায়?

সোভিয়েতদের পরাজিত করা

১৯৮৬ সালের আগস্টে, মাসউদ সোভিয়েতদের কাছ থেকে উত্তর আফগানিস্তানকে মুক্ত করার অভিযান শুরু করেছিলেন। তার বাহিনী সোভিয়েত তাজিকিস্তানের সামরিক বিমানবন্দর সহ ফারখোর শহর দখল করে। ১৯৮৬ সালের নভেম্বরে মাসউদের সৈন্যরা উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের নাহরিনে আফগান সেনাবাহিনীর ২০ তম বিভাগকেও পরাজিত করেছিল।

আহমদ শাহ মাসউদ তাঁর গেরিলা যুদ্ধ কৌশলকে আরও উন্নত করার জন্য চে গুয়েভারা এবং মাও সেতুংয়ের সামরিক কৌশল নিয়ে অনেক স্টাডি করেছিলেন। তাঁর গেরিলারা উচ্চতর বাহিনীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড-রানের স্ট্রাইক গুলির পর্যাপ্ত অনুশীলনকারী হয়ে ওঠে এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সোভিয়েত আর্টিলারি এবং ট্যাঙ্কগুলো দখল করে নিতে সক্ষম হয়েছিলো।

১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে তার শেষ সৈনিককে প্রত্যাহার করে নেয়। এই রক্তক্ষয়ী এবং ব্যয়বহুল যুদ্ধ পরবর্তী দু’বছর ধরে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।

আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহারের পরে, কিছু পর্যবেক্ষক আশা করেছিলেন যে কাবুলে কমিউনিস্ট শাসন ব্যবস্থা হয়তো শেষ হতে চলেছে, তবে বাস্তবে এটি আরও তিন বছর টিকে ছিল। ১৯৯২ সালের প্রথম দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের চূড়ান্ত পতনের সাথে সাথে কমিউনিস্টরা শক্তি হারাতে থাকে। উত্তরাঞ্চলের সামরিক কমান্ডারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি নতুন জোট, (উত্তর জোট হিসেবে পরিচিত), ১৯৯২ সালের ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি নাজিবুল্লাহকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়।

“প্রতিরক্ষা মন্ত্রী” আহমদ শাহ মাসউদ

Afghanistan Flag
Afghanistan Flag

কমিউনিস্টদের পতনের পরে তৈরি হওয়া নতুন ইসলামিক স্টেট আফগানিস্তানে, আহমদ শাহ মাসউদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার (Gulbuddin Hekmatyar) পাকিস্তানের সহায়তায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠার ঠিক এক মাস পরে কাবুলে বোমাবর্ষণ শুরু করে।

১৯৯৪ সালের শুরুতে যখন উজবেকিস্তান সমর্থিত আবদুল রশীদ দোস্তম (Abdul Rashid Dostum) হেকমতিয়ারের সাথে সরকারবিরোধী জোট গঠন করেছিলেন, তখন আফগানিস্তানে একটি পুরোপুরি গৃহযুদ্ধে নেমে আসে।

বিভিন্ন যুদ্ধবাজদের অধীনে যোদ্ধারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, লুটপাট, ধর্ষণ এবং বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। সে সময় নৃশংসতা এতটাই ব্যাপক ছিল যে কান্দাহারে একদল ইসলামী শিক্ষার্থী নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা গেরিলা যোদ্ধাদের বিরোধিতা করে এবং আফগান বেসামরিক নাগরিকদের সম্মান ও সুরক্ষা দেয়ার জন্য একটি সংগঠন তৈরি করেছিল। এই গোষ্ঠীটিই নিজেদেরকে তালেবান বলে আখ্যায়িত করেছিলো, আপনি হয়তো জানেন তালেবান অর্থ “ছাত্র”

উত্তর জোটের কমান্ডার

প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে, আহমদ শাহ মাসউদ গণতান্ত্রিক নির্বাচন সম্পর্কে আলোচনায় তালিবানদের জড়িত করার চেষ্টা করেছিলেন। তালেবান নেতারা অবশ্য এতে আগ্রহী ছিলেন না। পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সামরিক ও আর্থিক সহায়তায় তালেবানরা কাবুলকে দখল করে এবং ১৯৯৬ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এ ঘটনার পরে মাসউদ এবং তার অনুসারীরা উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে ফিরে যায়, যেখানে তারা তালেবানদের বিরুদ্ধে উত্তর জোট গঠন করেছিল।

যদিও বেশিরভাগ প্রাক্তন সরকারী নেতা এবং উত্তর জোটের কমান্ডাররা ১৯৯৯ সালের মধ্যে নির্বাসনে চলে গিয়েছিলো, তবে আহমদ শাহ মাসউদ আফগানিস্তানে থেকে যান। তালেবানরা তাদের সরকারে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রস্তাব দিয়ে তাকে প্রতিরোধ করার প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

তালিবানদের কাছে শান্তির প্রস্তাব প্রেরণকারী

ahmad shah massoud lion of panjshir
ahmad shah massoud_lion of panjshir

২০০১ এর প্রথম দিকে, আহমদ শাহ মাসউদ তালেবাদেরকে আবারও একটা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তিনি তাদের বলেছিলেন গণতান্ত্রিক নির্বাচনকে সমর্থন করার জন্য তালেবানরা যেন তার সাথে যোগ দেয়। তবে তালেবানরা আরও এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

তবুও, আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের অবস্থান ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছিল; নারীদের বোরকা পরিধান করা, সংগীত ও ঘুড়ি উড়ানো নিষিদ্ধ করা এবং সংক্ষিপ্তভাবে অঙ্গ ছেদ করা বা সন্দেহভাজন অপরাধীদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার মতো তালেবান পদক্ষেপগুলি সাধারণ মানুষের কাছে একদমই গ্রহণযোগ্য ছিলো না। কেবল অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীই নয়, এমনকি তাদের নিজস্ব পশতুন লোকেরাও তালেবান শাসনের বিরুদ্ধে ছিল।

তা সত্ত্বেও, তালিবানরা ক্ষমতায় ছিল। তারা কেবল পাকিস্তান নয়, সৌদি আরবের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছিল এবং সৌদি চরমপন্থী ওসামা বিন লাদেন এবং তার আল-কায়েদার অনুসারীরা আফগানিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিল এই তালেবানদের ছত্রছায়ায়।

মাসউদ এর হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী পরিস্থিতি

আফগানিস্তানে আহমদ শাহ্‌ মাসউদ এর প্রভাবকে ধুলোয় মিশিয়ে দেয়ার লক্ষে আল-কায়েদার কর্মীরা আহমদ শাহ মাসউদের ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিলো এবং সেপ্টেম্বর, ২০০১-এ তাকে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে হত্যা করা হয়। আল-কায়েদা এবং তালেবানদের উগ্রপন্থী জোট মাসউদকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল এবং ১১ ই সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আল কায়দার আক্রমনের পূর্ব পর্যন্ত তারা উত্তর জোটকে দমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলো।

তাঁর মৃত্যুর পর থেকে আহমদ শাহ মাসউদ আফগানিস্তানের জাতীয় নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। একজন উগ্র-পন্থী যোদ্ধা, তবুও একজন পরিমিত ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে তিনিই একমাত্র নেতা ছিলেন যিনি আফগানিস্তানের সমস্ত উত্থান-পতনের সাক্ষী হলেও কখনও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। মৃত্যুর পরপরই রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই তাঁকে “আফগান জাতির বীর” উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন এবং অনেক আফগান তাকে প্রায় সাধু মর্যাদার অধিকারী বলে মনে করেন।

পশ্চিমেও, মাসউদকে অত্যন্ত সম্মানিত করা হয়। যদিও তাঁর যতটা সম্মান প্রাপ্ত হওয়া উচিত ছিল, তাকে ততোটা স্মরণ করা হয়নি, তবে পরিচিতরা তাকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে আফগান ভূমি থেকে বিতারিত করা এবং শীতল যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করে থাকেন। যা মতান্তরে রোনাল্ড রেগান বা মিখাইল গর্বাচেভের চেয়েও বেশি বলে অনেকেই মনে করেন। বর্তমানে, যে পাঞ্জশির অঞ্চলটি আহমদ শাহ মাসউদ নিয়ন্ত্রিত ছিল, তা যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অন্যতম শান্তিপূর্ণ, সহনশীল এবং স্থিতিশীল অঞ্চল।

 

তথ্যসুত্রঃ-

https://en.wikipedia.org/wiki/Ahmad_Shah_Massoud

https://www.thoughtco.com/ahmad-shah-massoud-195106

https://indianexpress.com/article/explained/ahmad-massoud-afghanistan-taliban-resistance-7466822/

https://www.britannica.com/biography/Ahmad-Shah-Masoud

 

 

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top