ইসরাইল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষের অজানা ইতিহাস।

ইসরাইল-প্যালেস্টাইন সংঘর্ষের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো। তবে প্যালেস্টাইনকে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে আসার পেছনে আসলে অনেকেই নাটের গুরুর ভুমিকা পাল করেছিলো। 

দেশ দুটির মধ্যে চলমান সংঘাত ১৯৪৭ সালে পালেস্টাইন বিভক্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে বলে মনে হলেও, প্রকৃত অর্থে এর অনেক আগে থেকেই এটা শুরু হয়েছিলো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, প্যালেস্টাইন থেকে অনেক দূরে, একটি সন্মেলন কক্ষে বিশ্ব নেতারা, কুকুরের রুটি ভাগের মতো প্যালেস্টাইনকে ভাগ করার বিজ বপন করেছিলেন। অবাক করা বিষয় হল, প্রকৃত ঘটনাটা অনেকটা এরকমই ছিল।

ইস্রায়েল-পালেস্টাইন সংঘর্ষ বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলোর একটি হলেও, ১৯১৫ সালের দিকে এদের কে নিয়ে মাথা ব্যাথা যেন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কমছিলই না। বিশ্ব সম্প্রদায়ের, প্যালেস্টাইনকে নিয়ে এহেন চিন্তার কারন কি ছিল, কিভাবে এটা শুরু হয়েছিল সেই পুরো বিশয়টাই চলুন জেনে নেই।

 ইসরাইল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দের প্রেক্ষাপট 

The_War_of_the_Nations_WW1
The_War_of_the_Nations_WW1

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, এক ব্রিটিশ কূটনীতিক তিনটি ভিন্ন ভিন্ন নিতিমালা প্রনয়ন করেছিলেন, আর তার মাধ্যমেই মুলত পালেস্টাইন এবং ইসরায়েলের মধ্যে দন্দের প্রথম সুচনা হয়। 

১৯১৫ সালের জুলাই থেকে ১৯১৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মিশরে নিয়জিত ব্রিটিশ হাই কমিশনার স্যার হেনরি ম্যাকমোহন, মক্কা শরীফের আমির, হুসাইন ইবনে আলির সাথে ১০ বারেরও বেশি মধ্যপ্রাচের কিছু বিশয় নিয়ে চিঠি আদান প্রদান করেছিলেন। সেখানকার একটা পত্রে বলা হয়েছিলো, ব্রিটিশ সরকার চায়, আরব নেতারা যদি অটোম্যান সম্রাজ্জের বিরোধিতা করে, তবে ব্রিটেন আরব বিশ্বের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিবে। 

প্রকৃতপক্ষে এই সময় অটোম্যান সম্রাজ্জের বিস্তৃতি ছিল ব্যাপক। ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত, পালাস্টাইনসহ, মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ অংশ অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। কিন্তু ব্রিটিশদের সহযোগিতায় আরব বিশ্বের বিজয়সহ বিভিন্ন কারনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যান সম্রাজ্জের পতন ঘটে।

সে সময় মিত্রশক্তি বিশেষকরে করে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স বিস্তীর্ণ অটোম্যান সম্রাজ্জকে আরব বিশ্বের সাথে কয়েকটি জোনে ভাগ করে নেয়। একইসাথে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ নাটকীয়ভাবে মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক বিশয়গুলকে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে।

বেলফর ঘোষণা 

arthur-james-balfour
arthur-james-balfour

১৯১৭ সালে, যুদ্ধের শেষেরদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব আর্থার জেমস বেলফোর, ফিলিস্তিন ভুখন্ডে ইহুদিদের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাতৃভূমি প্রতিষ্ঠায় সমর্থন করার উদ্দেশ্যে, একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন। ব্রিটিশ সরকারের প্রত্যাশা মতোই মিত্রদের পক্ষ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছিল, যাকে ইতিহাসে বেলফর ঘোষণা বলা হয়।

১৯১৮ সালে মিত্রবাহিনীর জয়ের মাধ্যমে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটলে, ৪০০ বছরের অটোমান শাসনের অবসান ঘটে এবং গ্রেট ব্রিটেন বৃহত্তর প্যালেস্তাইন অর্থাৎ আধুনিক ইস্রায়েল, প্যালেস্তাইন এবং জর্ডান হিসাবে পরিচিতি বিপুল ভূখণ্ডের উপর তাদের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে।

বাল্ফোরের ঘোষণা ১৯২২ সালে লীগ অফ নেশনস দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। মূলত ব্রিটেন আরব ভুখন্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণকে পাকাপোক্ত করার চূড়ান্ত বন্দোবস্ত করেছিল এই ঘোষণার মাধ্যমে। আরবরা বালফোর ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছিল, তারা খুবই উদ্বিগ্ন ছিল যে ইহুদিদের জন্মভূমি প্রতিষ্ঠা হলে প্যালেস্তিনিদের স্বাধীনতা খর্ব হবে। এবং হয়েছিলও তাই।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পার্টিশন প্ল্যান

১৯৪৭ সালে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশ শাসনের পরে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গঠিত জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে দুটি ভাগে বিভক্ত করার একটি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছিল। দুটির মধ্যে একটি হবে স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র এবং অন্যটি স্বাধীন আরব রাষ্ট্র। প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, জেরুজালেম শহর, যা ইহুদি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের রাজধানী হিসাবে পরিচিত ছিল, সেটা এখন থেকে এটি বিশেষ মর্যাদার অধিকারী একটি, আন্তর্জাতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত হবে।

ইহুদি নেতারা জাতিসংঘের এই প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছিলেন, তবে অনেক ফিলিস্তিনি আরব-যাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৯২০ এর দশক থেকে এই অঞ্চলে সক্রিয়ভাবে ব্রিটিশ এবং ইহুদি স্বার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছিলেন – তারা এ ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করে।

এ সময় আরব নেতারা যুক্তি দিয়েছিল, যে তারা প্যালেস্টাইনের মতো নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের আরও বেশি অঞ্চলের উপর নিয়ন্ত্রণ দেয়া উচিত। তবে আরব নেতাদের কোন মতামতেরই গুরুত্ব দেয়া হয়নি সে সময়। ১৯৪৭ সালে এই পারটিশন সম্পন্ন হয়।

ফিলিস্তিনের পার্টিশন প্ল্যান চালু হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৪৮ সালের মে মাসে ব্রিটেন প্যালেস্তাইন থেকে সরে আসে এবং দেশভাগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশে ইস্রায়েল নিজেদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করে। আর এভাবেই জন্ম হয় ইসরায়েল রাষ্ট্রের।

আরব-ইস্রায়েল যুদ্ধ

Israeli_Tanks_Cross_the_Suez_Canal

Israeli_Tanks_Cross_the_Suez_Canal

প্রতিবেশী আরব সেনাবাহিনী ইস্রায়েলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরধিতা করে। ১৯৪৮-এর আরব-ইস্রায়েলি যুদ্ধে ইস্রায়েল এবং পাঁচটি আরব দেশ জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, মিশর এবং লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। ১৯৪৯ সালের জুলাই মাসে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে ইস্রায়েল পূর্ব ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে, এবং জর্ডান পশ্চিম তীর, মিশর এবং গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

১৯৪৮ সালের সংঘাত ইহুদি ও ফিলিস্তিন আরবদের মধ্যে লড়াইয়ের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছিল, যা এখন দুটি-রাষ্ট্রের মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে এবং সেই সাথে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থের জটে এরা নিজেদের জরিত করেছে।

প্যালেস্টাইন লিবারেল অর্গানাইজেশন

১৯৬৪ সালে পালেস্টাইন লিবারেল অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠন গরে ওঠে। পালেস্টাইনিদের প্রতি কথিত ব্রিটিশ মান্ডেটের বিরধিতা এবং ইসরায়েলের ক্রমেই শক্তি বৃদ্ধির পাল্টা একটি জবাব হিসেবে মুলত এই সংগঠন গরে উঠেছিল। 

যদিও পিএলও মূলত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যম হিসাবে ইস্রায়েলকে ধ্বংসের জন্য নিজেদের উত্সর্গ করেছিল। তবে ১৯৯৩ সালে ওসলো অ্যাকর্ডস এ, পিএলও ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির বিনিময়ে ইস্রায়েলের অস্তিত্বকে কার্যত মেনে নিয়েছিল।

এখানে উল্লেখ্য ১৯৬৯ সালে খ্যাতনামা ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত পিএলওর চেয়ারম্যান হন এবং ২০০৪ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

ছয় দিনের যুদ্ধ

দুটি দেশের মধ্যে দন্দের ধারাবাহিকতায়, ১৯৬৭ সালে, ইসরায়েল এবং তাঁর প্রতিবেশী কয়েকটি আরব দেশের মধ্যে ছয় দিনের একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিলো। এ যুদ্ধের ফলে ইসরায়েলের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি, মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের সীমানা নতুনভাবে নির্ধারিত হয়। যুদ্ধটি শুরু হয়েছিলো মূলত মিশরের নেতা গামাল আবদেল নাসেরের উদ্যোগে। পরবর্তীতে সিরিয়া, জর্ডান এবং ইরাক, মিশরের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে। আরব জোটের মুল লক্ষই ছিল ইসরায়েলকে ধ্বংস করে দেয়া।

সংক্ষিপ্ত অথচ তীব্র এই যুদ্ধটি ছিল ইস্রায়েলিদের জন্য এক চমকপ্রদ বিজয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও ইস্রায়েলিরা তার আরব শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে সক্ষম হয়। আর আরব বিশ্বের জন্য যুদ্ধের ফলাফল ছিল চরম হতাশাব্যঞ্জক। ইস্রায়েলকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়ে গর্বিত গামাল আবদেল নাসের জতটা না ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো, তার থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিলো পালেস্টাইনি জনগনের। 

এই যুদ্ধ পুরো আরব বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছিল যে, ইস্রায়েল ভবিষ্যতে তাদের জন্য কতটা সমস্যা হয়ে দারাতে পারে। যুদ্ধটি ইস্রায়েলের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিল, কারণ ইস্রায়েল, আরবদের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলিতে নিজেদের কত্রিত্ত প্রতিষ্ঠা করে।

প্রথম ইন্তিফাদা এবং অসলো চুক্তি

Defense_Minister_Moshe_Dayan_Chief_of_staff_Yitzhak_Rabin
Defense_Minister_Moshe_Dayan_Chief_of_staff_Yitzhak_Rabin

১৯৮৭ সালে গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইস্রায়েলি দখল দারিত্ত নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ক্রোধের উত্তাপে প্রথম ইন্তিফাদা শুরু হয়। এর মধ্যমে ফিলিস্তিনি মিলিশিয়া গ্রুপগুলি বিদ্রোহ শুরু করেছিল এবং কয়েক শতাধিক মানুষ এতে নিহত হয়েছিল।

১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে চলমান সহিংসতা বন্ধের প্রয়াসে ওসলো পিস অ্যাকর্ডস নামে পরিচিত, একটি শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল।

প্রথম অসলো অ্যাকর্ড, মধ্য প্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার একটি সময়সূচী তৈরি করে এবং গাজা ও পশ্চিম তীরের কিছু অংশে একটি অন্তর্বর্তী ফিলিস্তিনি সরকার গঠনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। চুক্তিটি ১৯৯৩ সালে স্বাক্ষরিত হয়। যেখানে ইস্রায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রাবিন এবং ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।

আরাফাত ২৭ বছর আত্মগোপনে থাকার পরে ১৯৯৪ সালে গাজায় ফিরে আসেন। তিনি নবগঠিত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

১৯৯৫ সালে, দ্বিতীয় অসলো চুক্তি, পশ্চিম তীর এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে ইস্রায়েলি সেনাদের পুরোপুরি প্রত্যাহারের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে, অসলো অ্যাকর্ডস ইস্রায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

দ্বিতীয় ইন্তিফাদা এবং  অব্যাহত সহিংসতা

intifada
intifada

২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে, দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা শুরু হয়। সহিংসতার অন্যতম কারণ ছিল যখন ডানপন্থী, ইহুদি ইস্রায়েলি নেতা এরিয়েল শ্যারন, কয়েক হাজার সেনা নিয়ে মুসলিমদের মহা পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদেটি পরিদর্শন করেছিলেন।

অনেক ফিলিস্তিনি মনে করেছিল এটি একটি ইজরায়েলই আগ্রাসনমূলক আপত্তিকর পদক্ষেপ এবং তারা এর প্রতিবাদ করেছিল। ফলে দাঙ্গা শুরু হয়। যা এক সময়ের আশ্বাসপ্রাপ্ত শান্তি প্রক্রিয়াটির অবসান ঘটায়।

ফিলিস্তিনি ও ইস্রায়েলিদের মধ্যে এই সহিংসতা প্রায় পাঁচ বছর স্থায়ী হয়েছিল। ইয়াসির আরাফাত ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে মারা যান এবং ২০০৫ সালের আগস্টের মধ্যে ইস্রায়েলি সেনাবাহিনী গাজা থেকে সরে আসে। সেই সাথে শেষ হয় দ্বিতীয় ইন্তিফাদা।

হামাস

chaled-miszaal_hamas leader
chaled-miszaal_hamas leader

২০০৬ সালে, হামাস নামে একটি সুন্নি ইসলামপন্থী গোষ্ঠী ফিলিস্তিনের আইনসভা নির্বাচনে জয়লাভ করে। একই বছর পিএলও নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক দল হামাস ও ফাতাহর মধ্যে লড়াই শুরু হয়। ২০০৭ সালে, গাজার পক্ষে যুদ্ধে হামাস ফাতাকে পরাজিত করেছিল। অনেক দেশ হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করে। 

হামাস ও ইস্রায়েল ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অপারেশন কাস্ট লিড, ২০১২ সালের নভেম্বরে অপারেশন পিলার অফ ডিফেন্স এবং জুলাই ২০১৪ সালে অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ সহ বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে একে অপরকে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছিলো। সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলই আগ্রাসনের জবাব দিতে হামাস, ইজ্রায়েলের উদ্দেশে ৩০০০ এর ও বেশি রকেট হামলা চালায়ে তার জবাব দেয়।

২০১৪ সালের এপ্রিলে হামাস ও ফাতাহ একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল যা একটি সংহত জাতীয় ফিলিস্তিন সরকার গঠন করবে বলে মনে করা হয়েছিলো।

বর্তমান প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র

ফিলিস্তিনিরা এখনও একটি সরকারী পরিপূর্ণ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করে চলেছে স্বীকৃত।

যদিও ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জমিগুলি দখলে রেখেছে, তবে কিছু ইস্রায়েলি তাদের সরকারের ছত্রছায়ায় এসব অঞ্চলগুলিতে বসতি স্থাপন অব্যাহত রেখেছে। অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী এই ধরনের বসতিগুলিকে অবৈধ বলে মতামত দিয়েছেন। কিন্তু কে শনে কার কথা। দুটি দেশের মধ্যে, শান্তিপূর্ণ একটি সমাধানের উপায় খুঁজতে মাঝে মাঝে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়, তবে সেগুলোর শুভ ফলাফল কখনই দেখতে পাওয়া যায় না, আর সেটা হয়তো আমাদের প্রতাশা করাও উচিত নয়। 

 

source-

https://www.history.com/topics/middle-east/palestine

https://www.britannica.com/topic/Partition-of-Palestine

https://en.wikipedia.org/wiki/First_Intifada

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top