টাইটানিক (The Titanic)। ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অনুসন্ধানের ইতিহাস

টাইটানিক (The Titanic) আমাদের সকলের কাছেই ভিষণ আবেগের একটি নাম। আমরা কেউ জেনে বুঝে অথবা কেউ না জেনেই এ শব্দটির প্রতি আমাদের আবেগ প্রকাশ করি। প্রিয় পাঠক, বোঝাই যাচ্ছে যে আজ আমাদের আলোচনার বিশয়বস্তু এ টাইটানিক কে ঘিরেই।

১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল, গ্লেশিয়ারের সাথে ধাক্কায় টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার পরে, কিংবদন্তী তুল্য এ জাহাজটি আটলান্টিক মহাসাগরের মেঝেতে আটকে গিয়ে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়, এবং একটানা প্রায় ৭০ বছর যার খোঁজ কেউ রাখেনি। 

১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিখ্যাত আমেরিকান সমুদ্রবিজ্ঞানী ডঃ রবার্ট বালার্ডের নেতৃত্বে একটি যৌথ আমেরিকান-ফরাসী অভিযাত্রী দল, আরগো (Argo) নামক একটি সাবমারসিবল (এক প্রকার ডুবো যান) ব্যবহার করে সমুদ্র পৃষ্ঠের দুই মাইল নিচে টাইটানিককে (The Titanic) খুঁজে পান।

তাদের এ অভিযানটি বা এ আবিষ্কারটি টাইটানিকের ডুবে যাওয়া এবং খোঁজ পাবার ক্ষেত্রে শুধু নতুন অর্থই প্রকাশ করেনি বরং সমুদ্রের রহস্য অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে নতুন স্বপ্নের জন্ম দিয়েছিলো।

 

টাইটানিকের (The Titanic) যাত্রা এবং ডুবে যাওয়া

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে টাইটানিকের মতো এতো বড় ক্রুজ শীপ আর কখনই তৈরি হয়নি। ১৯০৯ থেকে ১৯১২ সাল অবধি আয়ারল্যান্ডে টাইটানিক জাহাজটি নির্মাণ করে ব্রিটিশ-মালিকানাধীন হোয়াইট স্টার লাইন কোম্পানি।

সদ্য নির্মিত টাইটানিক আনুষ্ঠানিকভাবে ১১ ই এপ্রিল, ১৯১২ সালে ইউরোপীয় বন্দর আয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউন থেকে ছেড়ে যায়। ২,২০০ যাত্রী ও ক্রু নিয়ে এই জাহাজটি তার প্রথম যাত্রা শুরু করে। টাইটানিকের প্রথম যাত্রার গন্তব্য ছিল আটলান্টিক পেরিয়ে নিউ ইয়র্কের দিকে।

টাইটানিকে যে সব হতভাগ্য যাত্রীরা চেপেছিল, তাদের বেশির ভাগই উন্নত জীবন লাভের আশায় আমেরিকার উদ্দেশে ইংলান্ড ছাড়ে। টাইটানিক (The Titanic) সর্বস্তরের যাত্রী পরিবহন করত। টাইটানিকের প্রথম যাত্রায় প্রথম, দ্বিতীয় শ্রেণীর পাশাপাশি তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের কাছেও টিকিট বিক্রি করা হয়েছিল।

প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের মধ্যে হোয়াইট স্টার লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জে ব্রুস ইসমায়ে ছিলেন, আরও ছিলেন ব্যাবসায়ী ম্যাগনেট হিসেবে পরিচিত বেঞ্জামিন গুগেনহিম,  এবং অ্যাস্টর ও স্ট্রস পরিবারের সদস্যরা।

যাত্রা শুরু করার মাত্র তিন দিন পরে, ১৪ এপ্রিল, ১৯১২, টাইটানিক রাত ১১.৪০ মিনিটে উত্তর আটলান্টিকের কোথাও একটি আইসবার্গে আঘাত করেছিল । জাহাজটি ডুবে যেতে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছিল। ক্রু এবং যাত্রীদের বিশাল চাপের ফলে পর্যাপ্ত লাইফবোটের অভাব দেখা দেয় এবং  যথাযথ বাবস্থাপনার সঠিক ভাবে ব্যাবহার না হওয়ার কারণে জাহাজটি ধ্বংস হয়ে যায়।

লাইফবোটগুলি ১,১০০ জনেরও বেশি মানুষ ধরে রাখতে সক্ষম হলেও, মাত্র ৭০৫ জন যাত্রী এতেকরে রক্ষা পায়। অন্ধকার এবং প্রচন্ড ঠান্ডা পরিবেশে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার রাতে প্রায় ১,৫০০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। 

টাইটানিক যখন নির্মাণ করা হয়, তখন একটা ধারনা প্রচলিত ছিল যে, “ টাইটানিক কখনো ডুববে না ”। অর্থাৎ তারা এটাকে “unsinkable” হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। যখন মানুষ জানতে পারল টাইটানিক ডুবে গেছে, তখন এ “অচিন্তনীয়” বিষয়টি কিভাবে ঘটলো সেটা জানার প্রতি সকলেই আগ্রহী হয়ে পরে।

টাইটানিক ডুবে যাওয়া সম্পর্কে অনেক  তত্ত্ব প্রকাশিত হয়, কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই এটা ধারনা করা হয়েছিলো যে, টাইটানিকের সন্ধান না হওয়া পর্যন্ত এসব তত্ত্বগুলি স্থায়ীভাবেই থাকবে। তবে সে সময় একটি সমস্যা তৈরি হয়েছিল, আর সেটা হল প্রকৃতপক্ষে, টাইটানিক কোথায় ডুবেছিল তা কেউ নিশ্চিত ছিল না। 

 

ডুবে যাওয়া টাইটানিকের অনুসন্ধান 

রবার্ট বলার্ড, যিনি টাইটানিককে নতুনভাবে পানির নিচে আবিষ্কার করেছিলেন।  তিনি তার শৈশব থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগো সমুদ্র সৈকতে একটি স্বপ্ন বুনতে থাকেন যে কোন একদিন তিনি টাইটানিক উদ্ধার করবেন।

বিষয়টিকে তখন ছেলে মানুষী মনে হলেও তিনি তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন ঠিকই করতে পেরেছিলেন। সে লক্ষে তিনি একটু বড় হওয়ার সাথে সাথে স্কুবা ডাইভ শিখতে শুরু করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে বলার্ড ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে রসায়ন এবং ভূতত্ত্ব উভয় বিষয়েই ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক পাস করেন, এবং সেনাবাহিনীতে  যোগদান করেন।

এর দু’বছর পরে, ১৯৬৭ সালে, বলার্ড নৌবাহিনীতে স্থানান্তরিত হন, যেখানে তাকে ম্যাসাচুসেটস-এর উডস হোল ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউশনে ডিপ ওশেন অনুসন্ধান বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এভাবে তিনি ডুবুরী হয়ে ওঠার মধ্য দিয়ে তাঁর বিখ্যাত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। 

তিনি বিভিন্ন সময়ে ডাইভের মাধ্যমে বেশকিছু ভাঙা জাহাজ খুঁজে পান। এসব অনুসন্ধান এবং আবিষ্কার সত্ত্বেও তিনি টাইটানিকের কথা কখনই ভুলে যাননি। তিনি একটা কথাই বলতেন ” আমি সর্বদাই টাইটানিক খুঁজে পেতে চাই ” এবং “এটি ছিল আমার কাছে পৃথিবীর মাউন্ট এভারেস্ট এর মতো “।

টাইটানিক (The Titanic) অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে রবার্ট বলার্ডই প্রথম ব্যাক্তি ছিলেন না। বছরের পর বছর ধরে, বেশ কয়েকটি দল বিখ্যাত জাহাজটির ধ্বংসস্তূপ সন্ধানের জন্য একাধিকবার অনেক চেস্টা করেছেন, তন্মধ্যে তিনজনকে কোটিপতি তেল ব্যাবসায়ী  জ্যাক গ্রিম অর্থায়ন করেছিলেন এটা খুঁজে পাওয়ার জন্য।

১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি অনুসন্ধান অব্যাহত রাখেন, এবং দাবি করেছিলেন তিনি টাইটানিকের প্রপেলারের ছবি তুলেছেন কিন্তু অনেকেই এটাকে কেবল একটি শিলা বলেই বিশ্বাস করেছিল। 

বলার্ড মার্কিন নৌবাহিনীকে টাইটানিক বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করেছিলেন, তিনি তার অভিযানের জন্য নৌবাহিনী অর্থ ব্যয় করবে কিনা সে বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে হারিয়ে যাওয়া জাহাজটি সন্ধানের ক্ষেত্রে মার্কিন নৌবাহিনীর তেমন কোন আগ্রহ না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা অনুসন্ধানের জন্য সম্মত হয়েছিল।

বলার্ড ১৯৬০ সালে নৌবাহিনীর একটি প্রযুক্তি ব্যাবহার করেন সে সময় হারিয়ে যাওয়া দুটি পারমাণবিক ডুবোজাহাজ অনুসন্ধান এবং তদন্ত করতে। তবে সেই সাথে তিনি তার গোপন মিশনটি চালিয়ে গিয়েছিলেন। অনুসন্ধানকালীন সময়ে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখেছিলেন, যা পরবর্তীতে তিনি টাইটানিক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ব্যাবহার করেছিলেন। 

 

টাইটানিক সনাক্ত

১৯৮৫ সালের আগস্টের শেষের দিকে বালার্ড শেষ পর্যন্ত তার অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন। তিনি এই অভিযানে যোগদানের জন্য জিন-লুই মিশেলের নেতৃত্বে একটি ফরাসী গবেষণা দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

নেভির সমুদ্রবৃত্তীয় সমীক্ষা জাহাজে করে বালার্ড এবং তার দল ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনের পূর্ব থেকে ১,০০০ মাইল দূরে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের সম্ভাব্য অবস্থানের দিকে যাত্রা শুরু করেন। পূর্ববর্তী অভিযানগুলো টাইটানিকের সন্ধান করতে সমুদ্রের তল্দেশে একধরনের সুইপ ব্যবহার করেছিল।

বলার্ডও এ পদ্ধতি অনুসরন করে আরও বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে সুইপগুলি পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি টাইটানিক (The Titanic) খোঁজার ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি ব্যাবহার করেন।

প্রথমত তিনি, যখন হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিন অনুসন্ধান করছিলেন তখন তিনি দেখেছিলেন সমুদ্রের স্রোত প্রায়শই কোন ধ্বংসাবশেষের হালকা টুকরো গুলো সমুদ্রের তুলনামুলক নীচ দিয়ে প্রবাহিত করে থাকে, এবং এইভাবে একটি পুরাতন ধ্বংসাবশেষ তার নির্দিষ্ট পথ ছেড়ে অন্য গন্তব্যে চলে যায়।

দ্বিতীয়ত, তিনি আরগো নামের সাবমারসিবলটির উপরে বেশ কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা করেন এবং এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করেন, যাতে আরও বিস্তৃত অঞ্চলগুলি ঘুরে দেখতে পারেন, এবং আরও গভীরে ডুব দিতে পারেন। এছাড়া এটি যাতে কয়েক সপ্তাহ ধরে পানির নিচে থাকতে পারে  সে বিষয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।

১৯৮৫ সালের ২২ আগস্টে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত স্থানে এসে পৌঁছান এবং অনুসন্ধান শুরু করেন। ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ভোরের দিকে, প্রায় ৭৩ বছর ঘুমিয়ে থাকা টাইটানিকের প্রথম ঝলক বালার্ডের কামেরার পর্দায় উপস্থিত হয়। সমুদ্রের ১২,০০০ ফুট নিচে অনুসন্ধানের সময় আরগো বালুকাময় সমুদ্র পৃষ্ঠে পরে থাকা টাইটানিকের অন্যতম বয়লারটি দেখতে পান।

দলটি এ আবিষ্কার সম্পর্কে অত্যন্ত আগ্রহী ছিল, যদিও তারা উপলব্ধি করেছিল যে তারা প্রায় ১,৫০০ ব্যক্তির কবরের উপরে ভাসছিল। এটা খুবই দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক একটি মুহূর্ত ছিল। টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ আবিষ্কারের আগে অনুসন্ধানকারী দলের কিছুটা বিশ্বাস ছিল যে টাইটানিক হয়তো অক্ষত হয়েই ডুবে গেছে। কিন্তু তাদের ধারনা ভুল ছিল।

 

টাইটানিকে বিতর্কিত অভিযান

এর পরবর্তীতে ব্যালার্ড ১৯৮৬ সালে টাইটানিকের (The Titanic) কাছে পুনরায় ফিরে আসেন এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যাবহার কিংবদন্তীতুল্য জাহাজের অভ্যন্তরে আরও সন্ধান শুরু করেন। এ সময় তিনি বেশ কিছু ছবি তোলেন এবং এগুলো তাকে সেখানেই বেশ আবেগাপ্লুত করে তোলে।

এ অভিযানের সময় তিনি টাইটানিকের গ্র্যান্ড সিঁড়ি, স্থির-ঝুলন্ত ঝাড়বাতি এবং জটিল লোহার-কাজ সহ সমস্ত কিছুর ছবি তুলেছিলেন।

১৯৮৫ সালের পর থেকে টাইটানিকের উদ্দেশ্যে বেশ কয়েক ডজন অভিযান হয়েছে। এই অভিযানের অনেকগুলি বেশ বিতর্কিত হয়েছে, কারন অভিযানকারীরা উদ্ধারকারীর ভুমিকায় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে কয়েক হাজার শিল্পকর্ম নিয়ে এসেছিল। বলার্ড এই ধরনের কাজের বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিবাদ করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে তিনি মনে করেন জাহাজটিকে শান্তিতে বিশ্রাম দেয়া উচিৎ।

তাঁর প্রাথমিক দুটি অভিযানের সময় তিনি কোনও আবিষ্কারকৃত নিদর্শনকে ভূপৃষ্ঠে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি অনুভব করেছিলেন যে অন্যদেরও একই ধরণের ধ্বংসস্তূপের পবিত্রতার প্রতি সম্মান দেখানো উচিত। 

কিন্তু তার এ আশাবাদ কখনই সত্যি হয়নি। টাইটানিক উদ্ধারকার্যের সবচেয়ে বড় উদ্ধারকর্তা হলেন আরএমএস টাইটানিক ইনক। সংস্থাটি জাহাজটির একটি বড় অংশ, যাত্রী লাগেজ, ডিনারওয়্যার এবং এমনকি বয়লারের অংশগুলি, সংরক্ষিত দলিল সহ উল্লেখযোগ্য অনেক নিদর্শনকে উপরে নিয়ে এসেছিলো।

ফরাসী সরকারের বাধার কারনে সংস্থাটি প্রথমে এগুলি বিক্রি করতে পারেনি, কেবল উদ্ধার খরচ সংগ্রহের জন্য এগুলি প্রদর্শনের ব্যাবস্থা করা হয়। বর্তমানে নেভাদার লাসভেগাসে ধ্বংস হয়ে যাওয়া টাইটানিকের ৫,৫০০ টিরও বেশি টুকরো প্রদর্শন করা হচ্ছে।

যদিও এরকম কাজ অনেক বার করা হয়েছিলো, কিন্তু ১৯৯৭ সালে চলচিত্র পরিচালক জেমস ক্যামেরন টাইটানিকের চলচিত্রায়নের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর কাছে টাইটানিককে নতুনভাবে আগ্রহী করে তোলেন। এখন অনেকেই টাইটানিক মানেই সেই জ্যাক এবং রোজ কে খুঁজে থাকেন।

২০১২ সালে টাইটানিক ডুবির ১০০ তম বার্ষিকী উজ্জাপন করা হয়। ধ্বংসস্তূপটি এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে সুরক্ষিত অঞ্চল হিসাবে নামকরণের যোগ্য এবং যা অবশিষ্ট রয়েছে তা সংরক্ষণের জন্যও বালার্ড  কাজ করে চলেছেন। কিন্তু ধ্বংসযজ্ঞের যত্ন নেয়ার মানুশিকতা অনেকেরই থাকেনা।

মানুষের ক্রমবর্ধমান কার্যকলাপের ফলে জাহাজটি প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত গতিতে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

 

 

তথ্যসূত্রঃ- https://en.wikipedia.org/wiki/RMS_Titanic

https://www.britannica.com/topic/Titanic

https://www.history.com/this-day-in-history/titanic-sinks

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top