ইসলামিক সভ্যতার ইতিহাস খুবই চিত্তাকর্ষক। যদি আমরা একটি টাইম্ফ্রেম বিবেচনা করি, তবে দেখতে পাই, আজও এটি টিকে রয়েছে সগর্বে এবং উত্তরোত্তর আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে। অতীতে উত্তর আফ্রিকা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চল অবধি এবং মধ্য এশিয়া থেকে উপ-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত বহুবিধ সংস্কৃতির সংমিশ্রণে এ সভ্যতা তার বিকাশ ঘটিয়েছে পুরো সফলতার সঙ্গে।
ইসলামী সাম্রাজ্য তার বিস্তৃতির সূচনা করেছিল সপ্তম এবং অষ্টম শতাব্দীতে। প্রতিবেশীদের সাথে একের পর এক দ্বন্দ্ব এবং বিজয়ের মাধ্যমে তারা একটি ঐক্যেমতে পৌঁছেছিল। সেই প্রাথমিক ঐক্যটি নবম এবং দশম শতাব্দীতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তথাপি বিগত এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে এ সভ্যতা পুনরায় জন্মগ্রহণ ও পুনরুজ্জীবিত হওয়ার মাধ্যমে সারা বিশ্বে অন্যতম শক্তিশালী একটি অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
পুরো সময় জুড়েই, ইসলামী রাষ্ট্রগুলি ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চলেছে। অন্যান্য সংস্কৃতি ও গোষ্ঠীকে শোষণ ও আলিঙ্গণের মাধ্যমে, দুর্দান্ত সব নগর ব্যাবস্থা তৈরি করেছিল। সেই সাথে একটি বিশাল বাণিজ্য নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা ও সেটা বেশ ভাল ভাবে বজায় রাখার মাধ্যমে তাদের চলা অব্যাহত রেখেছিল। একই সময়ে, সাম্রাজ্য দর্শন, বিজ্ঞান, আইন, চিকিত্সা, শিল্প, আর্কিটেকচার, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ইসলামী সাম্রাজ্যের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হ’ল ইসলাম ধর্ম। চর্চা ও রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত, ইসলামী ধর্মের প্রতিটি শাখা এবং সম্প্রদায় একেশ্বরবাদকে সমর্থন করে থাকে। কিছু দিক থেকে, ইসলাম ধর্মকে একেশ্বরবাদী ইহুদী ও খৃষ্টধর্ম থেকে উদ্ভূত একটি সংস্কার আন্দোলন হিসাবে দেখা যেতে পারে। তবে ইসলামী সাম্রাজ্য সেই সমৃদ্ধ সম্মিলন কে প্রতিফলিত করেছে ভালোভাবেই।
ইসলামী সভ্যতার পটভূমি

৬২২ খ্রিস্টাব্দে বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের নেতৃত্বে কনস্টান্টিনোপল (আধুনিক ইস্তাম্বুল) থেকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য প্রসারিত হয়েছিল। হেরাক্লিয়াস প্রায় এক দশক ধরে দামেস্ক ও জেরুজালেম সহ মধ্য প্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে নেওয়া সাসানীয়দের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রচারণা চালিয়েছিল। হেরাক্লিয়াসের যুদ্ধ কোনও ক্রুসেডের চেয়ে কম ছিল না। তার উদ্দেশ্য ছিল সাসানীয়দের তাড়িয়ে দেওয়া এবং খ্রিস্টান শাসন পবিত্র ভূমিতে ফিরিয়ে আনা।
হেরাক্লিয়াস যখন কনস্টান্টিনোপলে ক্ষমতা গ্রহণ করছিলেন, মুহম্মদ বিন আবদুল্লাহ (৫৭০-৬৩২) নামে এক ব্যক্তি পশ্চিম আরবে একটি বিকল্প, এবং বলা যায় আরও উগ্র একেশ্বরবাদ প্রচার করতে শুরু করেছিলেন। “ ইসলাম “, যা আক্ষরিক অর্থে “আল্লাহর ইচ্ছার অনুশাসনকে বোঝানো হয়েছিলো”।
ইসলামী সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা একজন দার্শনিক/নবী ছিলেন, কিন্তু আমরা হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে যা জানি, তা তার মৃত্যুর পরে কমপক্ষে দু-তিন প্রজন্মের বিবরণ থেকে প্রাপ্ত।
নিন্মে আমরা একটি সময়রেখা সম্পর্কে আলোচনা করবো, যেখানে আরব এবং মধ্য প্রাচ্যের ইসলামী সাম্রাজ্যের প্রধান শক্তি কেন্দ্রের গতিবিধিগুলিকে দেখানো হয়েছে। আফ্রিকা, ইউরোপ, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় খলিফা্রা অতীতেও ছিল এবং বর্তমানেও রয়েছে। তাদের নিজস্ব তবে পৃথক একটি ইতিহাস রয়েছে যা, হয়তো আমাদের অনেকের কাছেই আগ্রহের বিষয় হতে পারে।
হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) (৫৭০-৬৩২)
ইতিহাস অনুসারে ৬১০ খ্রিস্টাব্দে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বিশেষ দুত ফেরেশতা গ্যাব্রিয়েলের কাছ থেকে কোরানের প্রথম আয়াত পেয়েছিলেন। এর পরপরই ৬১৫ সালের মধ্যে সৌদি আরবের মক্কা শহরে তাঁর অনুসারীদের একটি সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) উচ্চ-মর্যাদাপূর্ণ কুরাইশ বংশের পশ্চিমা আরব গোত্রের সদস্য ছিলেন, তবে তাঁর পরিবার তার অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যে বিশেষ অবস্থান নিয়েছিল।
৬২২ সালে, মুহাম্মদকে মক্কা থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয় এবং তিনি তাঁর অনুসারীদের নিয়ে মদিনায় চলে যান। মদিনার স্থানীয় অনুগামীরা তাকে স্বাগত জানায়। এখানকার একটি জমিতে তিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন।
মুহাম্মদ (সাঃ) বৃহত্তর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্তৃত্ব গ্রহণ করার সাথে সাথে, তাঁর কুরাইশ চাচাত ভাইদের সাথে প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি একটি সংবিধান তৈরি, বাণিজ্য নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং স্থাপিত মসজিদটি ইসলামী সরকারের মূল আসনে পরিণত করেছিলেন।
৬৩২ সালে মুহাম্মদ (সাঃ) মারা যান এবং মদিনায় তাঁর মসজিদে সমাধিস্থ হন। সেই থেকে আজও এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরম পবিত্র মাজার।
ইসলামের চার খলিফা (৬৩২-–৬৬১)

হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পরে, ক্রমবর্ধমান ইসলামী সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব ছিল আল-খলিফা ‘আল-রশিদুন, নামে চার জন ন্যায়পরায়ণ খলিফার উপর, যারা সকলেই মুহাম্মদের অনুসারী এবং বন্ধু ছিলেন। এরা চারজন হলেন হজরত আবু বকর (৬৩২-৬৩৪), হজরত উমর (৬৩৪-৬৪৪),’ হজরত উসমান (৬৪৪–৬৫৬) এবং ‘ হজরত আলী (৬৫৬–৬৬১)। তাদের কাছে “খলিফা” বলতে মুহাম্মদের উত্তরসূরি বা উপ-উপাধিদলকে বোঝায়।
প্রথম খলিফা হলেন আবু বকর ইবনে আবি কাহাফা। সম্প্রদায়ের মধ্যে কিছু বিতর্কের পরে তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। পরবর্তী প্রতিটি শাসককেও যোগ্যতা অনুসারে এবং কঠোর বিতর্কের পরে বেছে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম এবং এর পরবর্তী খলিফা হত্যার পরে এই নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছিল। এভাবে এ চার জন খলিফা ৬৬১ সাল পর্যন্ত ইসলামী সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
উমাইয়া রাজবংশ (৬৬১-৭৫০ খ্রিঃ)
৬৬১ সালে হজরত আলীর হত্যার পরে উমাইয়ারা পরবর্তী প্রায় একশ বছর ধরে ইসলামের নিয়ন্ত্রণ লাভ করে। এদের মধ্যে প্রথম ছিল মুয়াবিয়া। তিনি এবং তাঁর বংশধররা ৯০ বছর রাজত্ব করেছিলেন। রাশিদুনের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্যের মধ্যে একটি, নেতারা নিজেদেরকে কেবলমাত্র আল্লাহ়্ বশীভূত ইসলামের পরম নেতা হিসাবে দেখেছিলেন। তারা নিজেদেরকে আল্লাহর খলিফা এবং আমির আল-মুমিনিন বলে সম্বোধন করতেন।
উমাইয়ারা শাসন করেছিল এমন একটি সময়ে, যখন পূর্ব বাইজেন্টাইন এবং সাসানিড অঞ্চলগুলিতে আরব মুসলিম বিজয় কার্যকর হচ্ছিল। ইসলাম এই অঞ্চলের প্রধান ধর্ম এবং সংস্কৃতি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। নতুন সমাজ, যার রাজধানী মক্কা থেকে সিরিয়ার দামেস্কে চলে এসেছিল। তাতে অবশ্য ইসলামিক ও আরবীয় উভয়েরই পরিচয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। উমাইয়ারা ইসলামের ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও এই দ্বৈত পরিচয়টি বিকশিত হয়েছিল।
উমাইয়াদের নিয়ন্ত্রণে, ইসলামী সভ্যতা লিবিয়া, পূর্ব ইরানের কিছু অংশে স্বল্প ও দুর্বলভাবে পরিচালিত হতে দেখা গেলেও, মধ্য এশিয়া থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় খিলাফতের নিয়ন্ত্রণ ভালোভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছিল।
‘আব্বাসীয় বংশের ইসলামী ক্ষমতায় আরোহণ (৭৫০-৯৪৫)

৭৫০ সালে আব্বাসীয়রা উমাইয়াদের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে, এবং এটিকে তারা বিপ্লব (dawla) বলে উল্লেখ করেছিল। আব্বাসীয়রা উমাইয়াদেরকে একটি অভিজাত আরব বংশের রূপে দেখেছিল এবং ইসলামী সম্প্রদায়কে রাশিদুন আমলে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল।
সেই সাথে তারা, একীভূত সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতীক হিসাবে সার্বজনীন রীতিতে শাসন করতে চেয়েছিল।
এটি করার জন্য, তারা তাদের কুরাইশ পূর্বপুরুষদের চেয়ে মুহাম্মদের কাছ থেকে তাদের পরিবারের বংশধরকে জোর দিয়েছিল।
এরা খলিফা আব্বাসিদ আল-মনসুর (৭৫৪-৭৭৫) এর মাধ্যমে বাগদাদকে নতুন রাজধানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে কেন্দ্রীয় খিলাফত মেসোপটেমিয়ায় স্থানান্তরিত করে।
আব্বাসীয়রা তাদের নামের সাথে সম্মানের প্রতিক হিসেবে (আল-) শব্দটি ব্যবহারের রীতি শুরু করেছিল। এর মাধ্যমে তারা বোঝাতে চেয়েছিল যে তাদের সাথে আল্লাহর সংযোগ রয়েছে। তারা আল্লাহর খলিফা এবং বিশ্বস্ত সেনাপতিদেরকে তাদের নেতাদের উপাধি হিসাবে ব্যবহার অব্যাহত রেখেছিল। এছাড়া তারা আল-ইমাম উপাধিও গ্রহণ করেছিল।
পার্সিয়ান সংস্কৃতি (রাজনৈতিক, সাহিত্যিক) ‘আব্বাসীয় সমাজে সম্পূর্ণরূপে সংমিশ্রিত হয়েছিল। তারা সফলভাবে এসব বিষয়গুলো একীভূত করতে সক্ষম হয়েছিলো। আসলে, তৎকালীন সময়ে বাগদাদ মুসলিম বিশ্বের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জ্ঞান ভিত্তিক রাজধানীতে পরিণত হয়েছিল।
আব্বাসীয় শাসনের প্রথম দুই শতাব্দীতে, ইসলামিক সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নতুন বহুসংস্কৃতিমূলক সমাজে পরিণত হযা। এ সময়ে আব্বাসিয়দের শাসন ব্যাবস্থা আরামাইক ভাষাবিদ, খ্রিস্টান, ইহুদী, পার্সিয়ান এবং সমগ্র আরবদের বিশেষভাবে আকর্ষিত করেছিল।
আব্বাসীয় সম্রাজ্জ্যের পতন এবং মঙ্গোল আক্রমণ (৯৪৫–১২৫৮)
দশম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ‘আব্বাসীয়রা বেশকিছু সমস্যায় পড়েছিল এবং তাদের সাম্রাজ্য ভেঙে যাচ্ছিল। ফলে পূর্বের’ আব্বাসীয় অঞ্চলগুলিতে নতুন স্বাধীন কয়েকটি রাজবংশের ক্রমবিকাশ শুরু হয়। এই রাজবংশগুলির মধ্যে পূর্ব ইরানের সামানিড (৮১৯-১০০৫), মিশরের ফাতিমিড (৯০৯–১১৭১) এবং আইয়ুবিডস (১১৬৯-১২৮০) এবং ইরাক ও ইরানের বৌইদ (৯৪৫-১০৫৫) অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৯৪৫ সালে, ‘আব্বাসীয় খলিফা আল-মুস্তাকফী একজন বৌইদ খলিফা দ্বারা পদচ্যুত হয়েছিলেন, এবং তুর্কি সুন্নি মুসলমানদের বংশের সেলজুকরা ১০৫৫-১১৯৪ সাল পর্যন্ত সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন। যদিও এর পরে সাম্রাজ্য’ আব্বাসীয় নিয়ন্ত্রণে ফিরে আসে। তথাপি ১২৫৮ সালে, আব্বাসীয় সাম্রাজ্যে মঙ্গোলদের দ্বারা বাগদাদ আক্রমণের মাধ্যমে পতন হয়।
মামলুক সুলতানি আমল (১২৫০–১৫১৭)
এরপরে ছিল মিশর ও সিরিয়ার মামলুক সুলতানি আমল। এই পরিবারের শিকড় ১১৬৯ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবি (যিনি সুলতান সালাদিন নামেও পরিচিত) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মামলুক সুলতান কুতুজ ১২৬০ সালে মঙ্গোলদের পরাজিত করেন এবং ইসলামিক সাম্রাজ্যের প্রথম মামলুক নেতা বায়বার্স (১২৬০-১২৭৭) দ্বারা তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।
বায়বারস নিজেকে সুলতান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এবং ইসলামী সাম্রাজ্যের পূর্ব ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত অঞ্চলে শাসন করেছিলেন। মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তা সত্ত্বেও মামলুকদের অধীনে দামেস্ক ও কায়রোর শীর্ষস্থানীয় শহরগুলি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল। ১৫১৭ সালে মামলুকরা অটোমানদের দ্বারা পরাজিত হয়।
অটোমান সাম্রাজ্য (১৫১৭–১৯২৩)

পূর্ব বাইজেন্টাইন অঞ্চলটিতে একটি ছোট্ট রাজ্য হিসাবে খ্রিস্টীয় ১৩০০ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের উত্থান হয়েছিল। প্রথম শাসক (১৩০০-১৩২৪) ওসমান এর রাজবংশের নামানুসারে অটোমান সাম্রাজ্য পরবর্তী দুই শতাব্দী ধরে তার সমৃদ্ধি ধরে রেখেছিল। ১৫১৬-১৫১৭ সালে অটোমান সম্রাট সেলিম প্রথম মামলুকদের পরাজিত করেছিলেন।
এর মাধ্যমে তিনি মূলত তার সাম্রাজ্যের আকার দ্বিগুণ করে মক্কা এবং মদিনা পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছিলেন। বিশ্বের আধুনিকীকরণ হওয়ার সাথে সাথে অটোমান সাম্রাজ্য তার শক্তি হারাতে শুরু করে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির সাথে সাথেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্রাজ্জের সমাপ্তি ঘটে।
প্রিয় পাঠক, ইসলামী সভ্যতার ইতিহাস অনেক বিস্তৃত। উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনাতে শুধুমাত্র এ সভ্যতার একটি টাইম লাইন আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করা হয়েছে মাত্র। তবে আগামীতে এর বিস্তারিত ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করবো।
তথ্য সুত্রঃ- https://www.thoughtco.com/islamic-civilization-timeline-and-definition-171390
https://www.britannica.com/topic/Islamic-world/Sunnis-and-Shiites
https://en.wikipedia.org/wiki/Islamic_Golden_Age
অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পরিশমের জন্য আমরা অনেক উপকৃত হলাম।ধন্যবাদ।